ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৭০ বছর পর স্থায়ী ঠিকানা পেলেন অন্ধ দম্পতি 

প্রকাশনার সময়: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৩

আমার জীবনে ভাবিনি পায়ের তলায় মাটি হবে, আমাদের পাকা ঘর হবে। আমি ছিলাম মানুষের জমিতে। শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা আমাকে পাকা ঘর ও জমি দিয়ে আমার জীবনে আলো দিয়েছে। আমাকে আর মানুষের জমিতে ঘর করে থাকতে হবে না। সারাটা জীবন অন্যের জমিতে বাস করতে গিয়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে। অনেক খারাপ কথা বলার পরেও সয়ে যেতে হয়েছে। বাবা ছিলেন ভারতের কোন এক জেলার বাসিন্দা।

১৯৪৭ সালে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ৮ ভাইবোনকে নিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। আট সন্তানের জনক বাবা কোনো স্থায়ী ঠিকানা গড়তে পারেননি। বাবা ভারত থেকে পালিয়ে এসে এই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেছেন। যার বাসায় কাজ করতেন, তার জমিতে আমাদের দয়া করে থাকতে দিত। আমিও সারাটা জীবন অন্যের জমিতে বাড়ি করে ছিলাম। অন্য ভাইবোনেরা যে যার মতো ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে। আমি অন্ধ হওয়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছি। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে আমাদের। তারা কোনো খোঁজ খবর নেয় না। প্রায় পৌনে এক শতাব্দীর দুঃখ শেষ হয়েছে বর্তমান সরকারের হাত ধরে। আনন্দে চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে এমনটাই বলছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের আরজি গরকতগাঁও এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৮টি ঘরের মধ্যে একটি ঘর পাওয়া আক্তার হোসেন অন্ধ দম্পতি।

অন্ধ আকতার হোসেন বলেন, কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের পাকা ঘর হবে। শুধু রাতে দুচোখের পানিতে বালিশ ভিজেছে। সেই আশা পূরণ করেছেন শেখের বেটি। আল্লাহর পরে শেখের বেটি। এখন যতই অভাবে থাকি না কেন, ঝড়-বাদলের দিনে মাথার উপরে আশ্রয় হলো। ঝড়ের দিনে চাল উড়ে যাওয়ার ভয় নেই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নামাজে সবসময় দোয়া করি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান জানান, ভূমিহীনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। যার ফলে প্রকৃত উপকারভোগীরা বের হয়ে এসেছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ