কিশোরগঞ্জের জেলার উপর দিয়ে প্রবাহমান এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী ভূমি খেকো মানুষের দখলে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। সিএস এবং এসএ (আর ও আর) জরিপে নরসুন্দা নদীর আকার বা পরিধি বড় ছিল কিন্তু আর এস জরিপের সময় নদীর উপর অস্থায়ী দখলদারকে মালিক হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় দেখানোর ফলে তারা মালিক হয়ে নদীর বুকে বিভিন্ন স্থাপনা করেছে।
এ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবাহিত নরসুন্দার পাড় বাঁধায়ের কারণে পাড়ের মানুষজন নদীর জায়গা দখল করেছে। শহরের বাইরে আরএস রেকর্ডের মালিকের বলে নদীর উপর বিভিন্ন স্থাপনা করে নদীর আকার ছোট করে সংকীর্ণ খালে বা নালায় পরিণত করেছে।
প্রকৃতির দান এই নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে না দিতে পারলে এক সময় নদী বলে কিছুই থাকবে না এবং ইকোসিন্টেমের ব্যপক ক্ষতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার প্রগতিশীল লোক ও নদী বিষয়ক গবেষকরা।
শিক্ষাবিদ ও প্রগতিশীল ব্যক্তি আলফাজ উদ্দিন দিপু বলেন, মিয়ম্রান নদীগুলোকে খননের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে না হলে ইকো সিস্টেমের ক্ষতি হবে। নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে না দিলে বাস্তুতান্ত্রিক বিপর্যয় হবে। ইতোমধ্যেই জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা সমূহ ক্ষতি হতে শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এর মাত্রা আরো বাড়বে।
নদী বিষয়ক জার্নাল রিভার বাংলার সম্পাদক, নদী গবেষক ফয়সাল আহমেদ বলেন, নরসুন্ধা নদীকে ঘিরে প্রথমত কোটি টাকার প্রকল্পটা যথাযথ বাস্তবায়ন হয় নাই। এতে দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে। নদী কোন দিন সরল রেখায় বহমান থাকে না। নদীপাড় পাকা বাঁধায় করার কারণে নদী পাড়ের মানুষজন নদীর জায়গা দখল করেছে। এতে নদীর আকার ছোট হয়েছে এবং নদীকে মানুষের ইচ্ছায় সরল রেখায় বহমান করেছে কিছু কিছু জায়গায়। নরসুন্ধা নদীর সাথে ব্রহ্মপুত্রের সংযোগ স্থলে বাঁধ দেয়ার কারণে নরসুন্দা নদীতে যদি পানি প্রবাহ নেই। যদি থাকতো তাহলে এ শুকনো মৌসমেও পানি থাকতো নদীর বুকে এবং জীববৈচিত্র সুরক্ষিত থাকতো।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ