ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ফসলের মাঠে হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির অপরুপ রুপে সেজেজে সরিষা খেতের মাঠ। হলুদ সরিষা ফুল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
কৃষকরা জানান, আমন ধান কাটার পর কৃষি জমি অনেকটা অলস পড়ে থাকে। সেই ফাঁকা মাঠে সরিষা চাষ করে জমির উর্বরতা রক্ষার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হয় কৃষকের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ও ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩৬১ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে এবার কৃষি অফিস সরিষা আবাদ বাড়াতে প্রণোদনার মাধ্যমে ২১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার দিয়েছে। এ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছেন।
উপজেলার ভবানীপুর, তাঁতকুড়া, গুঁজিখা, কলতাপাড়া, বোকাইনগর, ভাংনামারী সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারন করেছে ফসলের মাঠ। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাঠ। মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দুরন্ত শিশুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছোটাছুটি করছে মাঠের পাশে।
গুঁজিখা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষাণী ঝর্ণা বেগম বলেন, আমি প্রতিবছর বাইরে থেকে ভালো বীজ সংগ্রহ করে সরিষা আবাদ করি। এই মৌসুমে তিনকাঠা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বেশ ভালো ফুল ধরেছে আশা করি ভালো ফলন হবে।
সতিষা গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আগে ধান কাটার পর জমি পতিত পড়ে থাকতো। কিন্ত টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এই কথা শোনে তিন কাঠা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বৈরী আবহাওয়া ও পোকামাকড়ের উপদ্রব না হলে সরিষা বিক্রি করে ভালো লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, আমাদের ভোজ্যতেলের চাহিদা ৪০% দেশে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। সরিষা আবাদ বাড়াতে প্রণোদনা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। কৃষক যেন ভালো ফলন পায় সেলক্ষে কৃষি বিভাগের টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ