সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের উপর হামলা-মামলা বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল, সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিনসহ চলমান সমস্যা-সঙ্কট সমাধানে দেয়া আল্টিমেটাম আরও একমাস বাড়িয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবর আবারও দেয়া হবে। তারপরও কোনো অগ্রগতি পাওয়া না গেলে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে আল্টিমেটামের সময় বাড়িয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, দাবিগুলো নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু কোনো কার্যকর ফল পাইনি। যার ফলে আমাদেরকে একের পর এক কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। একই দাবিতে আমরা গত ২২ অক্টোবর কর্মসূচি পালন করেছি। আজকে ২২ নভেম্বর আবার কর্মসূচি পালন করছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবিগুলো নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবর আবারও স্মারকলিপি দেব। স্মারক দেওয়ার পর পরবর্তী ২১/২২ দিনের মধ্যে যদি কোনো অগ্রগতি না পাই অথবা ন্যূনতম কোনো সাড়া না পাই, তবে পরবর্তী এক মাসের মাথায় আবারো রাজপথে নামবো। আজকে প্রতীকী অনশন করেছি। আগামীতে আমরা সরাসরি অনশনে যাব। আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, যে কর্মসূচি চলছে, এটি চলবে। আমাদের দাবি নবম ওয়েজবোর্ড প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করতে হবে। সাংবাদিকরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকে। তাদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করতে হবে। কারণ বর্তমানে যে একটি দিন বহাল আছে, সেই ছুটির দিনেও গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করতে হয়। যার ফলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলেছি পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ড কমিয়ে দেওয়া যাবে না। অপেশাদারদের হাতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কীভাবে যায়, সেটা নজরদারি করেন। আমাদের দাবিগুলো তথ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এসেছিলাম এবং বলেছিলাম বিষয়টি বিবেচনা করবেন। কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না।

ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদের সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুজিব মাসুদ, ইব্রাহিম খলিল খোকন, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/জেডএম