শহীদ বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি মানুষের মনন তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের আত্মত্যাগেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাঠে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সাংবাদিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইউনিয়ন কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, মালিকরা আইন মানছে না কারণ আমরা সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারছি না। বৈষম্য এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পরে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে।
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, যাতে বাংলাদেশ দাঁড়াতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি মানুষের মনন তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন। একটি প্রজন্ম তৈরি করেছিলেন তারা। বুদ্ধিজীবীদের দেখানো আলোর পথে আমরা পথ চলি। আমরা দেশের মানুষের সঙ্গে থাকব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে থাকব। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আজকে ৫৩ বছরে পা দিতে যাচ্ছি কিন্তু আমরা আমাদের সেই আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল আদর্শিক কারণে। আমরা প্রতিনিয়ত হত্যা হচ্ছি মালিকদের লোভাতুর মানসিকতার কারণে। রুটিরুজির জায়গায় প্রতিনিয়ত আমাদের হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাংবাদিক বিরোধী শক্তির কারণে ওয়েজ বোর্ড হয়নি। আজকে আমাদের এই শক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে। রাষ্ট্রকে কর্ণপাত করাতে হলে সংঘবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, একাত্তরের ঘৃণ্য চক্র নিজদের সহকর্মীদের ঘাতকদের হাতে তুলে দিয়েছিল। আজকে আমাদের মাঝেও এমন অনেকেই আছেন যারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে সহকর্মীদের স্বার্থ বিকিয়ে দিতে পারেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় শহীদ সাংবাদিকদের তালিকা করার দাবি জানান ঢাকা পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মফিজুর রহমান খান বাবু।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আছাদুজ্জামান, ডিআরইউ'র সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, ডিইউজের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, সফিকুল করিম সাবু, করতোয়ার ডেপুটি ইউনিট চীফ মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিইউজের কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নিউ নেশন-এর ইউনিট চিফ মঈন আহমেদ, করতোয়ার ইউনিট চীফ সুলতানুর রহমান প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ