গণহত্যা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রাম। এ গ্রামেই ১৩ নভেম্বর গণহত্যা দিবস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে আমবাড়িয়া গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাজু জানান, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর।তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয় পাকবাহিনী। এর দুদিন পর হানাদার বাহিনী আমবাড়িয়া গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, প্রতিবছর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরে আমবাড়িয়ায় কর্মসূচি পালন করা হলেও ১৩ নভেম্বর গণহত্যা দিবসে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় না।
হাদিউল হৃদয় নামে এক স্থানীয় সাংবাদিক দিবসটি পালন করেন গত তিন বছর ধরে। এ দিকে তরুণ কবি ও সাংবাদিক হাদিউল হৃদয় জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও তাড়াশের আমবাড়িয়া গণ কবরের স্বীকৃতি মেলেনি। তবে সকল নিহতদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও সরকারিভাবে দিবসটি পালন হচ্ছে না। তাই এবছরও তিনি সহকর্মীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমবাড়িয়া গণহত্যা দিবস পালন করবেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারিভাবে দিবসটি পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, পাক-হানাদারবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের কালের সাক্ষী আমবাড়িয়া গণকবর। এ দিন (১৩ নভেম্বর) গণহত্যা দিবস পালনে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ