ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২২ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৫

আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ছিলেন নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি ও গীতিকার।

হুমায়ূন আহমেদ থাকতে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হতো তার জন্মদিন। এবারও নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে দিনটি। ২০১২ সালে ক্ষণজন্মা এ কথাশিল্পীর জীবন কেড়ে নেয় ক্যান্সার। মুগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন তার রচনাবলিতে। হুমায়ূন আহমেদকে হারানোর শোক আজও লালন করছে লাখো পাঠকের হৃদয়।

ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ সব শাখাতেই অসম্ভব সফল এই নন্দিত লেখক। বাংলা সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র ও গানে পালাবদলের এ কারিগর ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। এরপর লিখেছেন শতাধিক গ্রন্থ। টেলিভিশন নাটকেও চমক দেখিয়েছেন তিনি। বদলে দেন নির্মাণের বাঁক।

১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩ সালে নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমাটি। এটি ২০০৬ সালে ‘সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র’ বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

হুমায়ূন আহমেদ সর্বজন প্রিয় হয়ে আছেন হিমু ও মিসির আলী চরিত্রের স্রষ্টা হিসেবে। এছাড়াও তাকে বলা হয় তারকা গড়ার কারিগর। তার হাত ধরে অনেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। খ্যাতিমান কম্পিউটারবিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ