‘আমরা চাই কলমকে
বন্দুকের সমকক্ষ করতে
শিল্পায়ন তালিকায় এর স্থান হোক
লোহালক্করের পাশে’ - কবি মায়াকভস্কিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংস্কৃতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, সংস্কৃত ভাষায় কর্ষণ বলতে বিশেষভাবে চাষ করাই বোঝায়; ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গযোগে মূল ধাতুটাকে ভিন্ন ভিন্ন অর্থবাচক করা যেতে পারে, সংস্কৃত ভাষার নিয়মও তাই। উপসর্গভেদে এক কৃ ধাতুর নানা অর্থ হয়, যেমন উপকার বিকার আকার। কিন্তু উপসর্গ না দিয়ে কৃতি শব্দকে আকৃতি প্রকৃতি বা বিকৃতি অর্থে প্রয়োগ করা যায় না। উৎ বা প্র উপসর্গযোগে কৃষ্টি শব্দকে মাটির থেকে মনের দিকে তুলে নেয়া যায়, যেমন উৎকৃষ্টি, প্রকৃষ্টি। ইংরেজি ভাষার কাছে আমরা এমনি কী দাসখত লিখে দিয়েছি যে তার অবিকল অনুবর্তন করে ভৌতিক ও মানসিক দুই অসবর্ণ অর্থকে একই শব্দের পরিণয়-গ্রন্থিতে আবদ্ধ করব?
বৈদিক সাহিত্যে সংস্কৃতি শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়, তাতে শিল্প সম্বন্ধেও সংস্কৃতি শব্দের প্রয়োগ আছে। ‘আত্মসংস্কৃতির্বাব শিল্পানি’। ‘ছন্দোময়ং বা এতৈর্যজমান আত্মানং সংস্কুরতে’র এই-সকল শিল্পের দ্বারা যজমান আত্মার সংস্কৃতি সাধন করেন। সংস্কৃত ভাষা বলতে বোঝায় যে ভাষা বিশেষভাবে ‘cultured, যে ভাষা cultured সমপ্রদায়ের। মারাঠি, হিন্দি প্রভৃতি অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষায় সংস্কৃতি শব্দটাই কালচার অর্থে স্বীকৃত হয়েছে। সাংস্কৃতিক ইতিহাস (cultural history) ক্রৈষ্টিক ইতিহাসের চেয়ে শোনায় ভালো। সংস্কৃত চিত্ত, সংস্কৃত বুদ্ধি cultured mind, cultured intelligence কৃষ্টচিত্ত, কৃষ্টবুদ্ধির চেয়ে উৎকৃষ্ট প্রয়োগ সন্দেহ নেই। যে মানুষ cultured তাকে কৃষ্টিমান বলার চেয়ে সংস্কৃতিবান বললে তার প্রতি বেশি সম্মান করা হবে।
মার্কসবাদী তাত্ত্বিক- ক্রিস্টোফার কডওয়েল, টেরি ঈগলটন, আন্তনিও গ্রামসি সবাই মনে করেন- সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়েই বুদ্ধিবৃত্তির এমন একটি স্তরে পৌঁছানো সম্ভব যেখানে সংস্কৃতি হবে সমাজ বিপ্লবের সবচে সহায়ক শক্তি। ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পর শিল্প-সাহিত্যে যে বিপ্লব সূচিত হয়েছে তা সারাবিশ্বের ক্লাসিক সাহিত্যকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তদুপরি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই রাশিয়া কেন সারাবিশ্বের মুক্তিকামী দেশগুলোর যে পরিবর্তন, তাও লক্ষ্যনীয়। একটি দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ছাড়া সংস্কারের অন্য কোনো মাধ্যম নেই। সংস্কার থেকেই যেহেতু সংস্কৃতি শব্দের উৎপত্তি, সেহেতু সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন- সংস্কৃতি একটি জাতির মূল শক্তি। সংস্কৃতিশূন্য জাতি ইতিহাসশূন্য। তাই শ্রেণি সংগ্রামকে গতিশীল করতে হলে শ্রেণিকে শক্তিশালী ও সংস্কৃতিসমৃদ্ধ করা জরুরি। সংস্কৃতি হচ্ছে কোনো জাতির ঐতিহ্য ও আদর্শগত মূল্যবোধ, যা উৎকর্ষিত হয়েছে শত শত বছরের ভাষা, সাহিত্য ও সুরুচির ব্যপ্তি ও বিকাশের মাধ্যমে।
অপসংস্কৃতি হচ্ছে মানবতা ও সৌন্দর্য বিবর্জিত একটি সংকীর্ণ পথ- যা কোনো দেশ বা জাতিকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। অপসংস্কৃতি থেকে জন্ম নেয় কর্মবিমুখতা, উচ্ছৃঙ্খলতা আর আত্মকেন্দ্রিকতা, যেগুলো পুঁজির অনন্য সৃষ্টি। বিকাশমান পুঁজির যদিও একটা কল্যাণকর দিকও থাকে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট যার প্রধান শর্ত। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজি পুরোটাই ডাকাতির ফসল। কোটি টাকার মালিক হয় লক্ষ মানুষকে পথে বসিয়ে। এই পুঁজির কোনো মানবিক গুনাবলি নেই। মানুষ ক্রমশ হয়ে পড়ছে স্বার্থপর ও যান্ত্রিক। মাদক বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে এরা পরিকল্পিতভাবে ধংস করছে তারুণ্যকে। সংস্কৃতি বিকাশের পথকে টেনে ধরছে পেছন থেকে।
আর নিজস্ব সংস্কৃতি ছেড়ে গতিশীল করছে ব্যান্ড সংগীতকে। ব্যান্ডের যেসব বাদ্যযন্ত্র নিদিষ্ট একটা রিদম তুলে বাজে। শিল্পীকে ওই তালের সঙ্গে মিলতে হয়। এই সুর তাল লয়ের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় এক ধরনের জীবন বিনাশী শখ। নেশা তাকে গিলে বসে, সুরকে করে বিকৃত। এসব বাদ্যযন্ত্রকে যদি বাঙালি সংগীতের মধ্যে বাজানো যেত তাহলে সংগীতে অভিনব সংযোজন হতে পারতো। যেমন রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে গিটার এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এক সময় আফগানিস্তান থেকে পারস্য অঞ্চলে সন্তুর কেবলই একটা জনপ্রিয় লোক বাদ্যযন্ত্র ছিল। রামকুমার শর্মার মতো যন্ত্রীর হাতে পড়ে আজ তা বিখ্যাত একটি ক্লাসিকাল বাদ্যযন্ত্র এভাবে পরিবর্তনের ধারাবাহিক ঘটনা ঘটে।
শিল্প সাহিত্য তথা সংস্কৃতি সাধনার একটা বড় কথা হল- মাত্রাজ্ঞান ও পরিমিতি বোধ সংযোগ করা। আর এই মাত্রাজ্ঞান ও পরিমিতিবোধের অভাব ও সংযোগ সংকটে সৃষ্টি হয় অপসংস্কৃতি। অপসংস্কৃতি কোনো দেশ বা জাতির জন্মগত বৈশিষ্ট্য নয়। এটা তথাকথিত আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী মুক্ত-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্ধকার দিক। তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করে মানুষ ভালো জিনিস গ্রহণ করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তথাকথিত আধুনিক বিশ্বের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অবাধ-অনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোকে গ্রহণ করে একজন উচ্চাভিলাষী মানুষ হয়ে পড়ে পীড়িত। ভালো কিছু আদান প্রদানে মানুষের মন হয় উদার-বিস্তৃত। কিন্তু মানুষ এতটাই অপরিণামদর্শী যে, তারা সংস্কৃতির ঠিক উল্টো দিকটাই গ্রহণ করে এবং নিজেকে নিক্ষেপ করে গভীর অরণ্যে- যেখানে গণমানুষের ঐতিহ্যগত ও উন্নত যাপিত জীবনের সংস্কৃতির এক কানাকড়িও মূল্য নেই।
গত শতাব্দীর চারের দশকে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক-সামাজিক-ঐতিহাসিক বিচারে যাদের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘটনাগুলো হল- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, মন্বন্তর, মহামারি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশভাগ এবং ঠিক তার অব্যবহিত পূর্বের তেভাগা আন্দোলন। নীল বিদ্রোহের পর তেভাগার মতো বড় কৃষক আন্দোলন বাংলার ইতিহাসে আর দেখা যায়নি।
প্রাক-আন্দোলন প্রতিটি ঘটনাও বাঙালির জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টির পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, যা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল না, ছিল মানুষেরই সৃষ্ট কৃত্রিম খাদ্য-সংকটের ফল।
শাসককূলের নীতি ও দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী শ্রেণির মুনাফা শিকারের উদগ্র লোভ এই বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। উডহেড কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই দুর্ভিক্ষে মৃত্যু হয়েছিল ১৫ লাখ বঙ্গসন্তানের, বেসরকারি হিসাবে তা ছিল দ্বিগুণেরও বেশি। যুদ্ধকালীন সময়ে দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি পরের বছরই লবণ ও ভয়াবহ বস্ত্র সংকট দেখা দেয়। সরকার অন্ন-বস্ত্র ও লবণের সুষ্ঠু বন্টনের জন্য কন্ট্রোল ব্যবস্থা চালু করলেও তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়; বরং এই ব্যবস্থা পুনর্বার ব্যবসায়ীদের সামনে অবৈধ মুনাফা শিকারের সুযোগ এনে দেয়। আর ব্যবসায়ীরাও তার পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করে রাতারাতি অর্থবিত্তে ফুলেফেঁপে ওঠে। মন্বন্তরের অবশ্যম্ভাবী ফল হিসাবে আসে মহামারি। আমাশয়, কলেরা, ম্যালেরিয়া ও জ্বর- এই চারটি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায় লাখ লাখ নিরাশ্রয় মানুষ। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে তখনো ছিল মজুতদার-চোরাকারবারীদের নোংরা খেলা।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, উল্লিখিত চারটি রোগে মৃতের সংখ্যা কেবল ১৯৪৩ সালেই ছিল ৪,২৭,২৮৭; ১৯৪৪ সালে ছিল ৪,০০,৮৮৯ জন। এই ধারাবাহিক বিপর্যয় কৃষকদের সংঘবদ্ধ করেছিল, সঙ্গে ছিল জমিদারি শোষণের দীর্ঘ ইতিহাস।
ভাগচাষিরা জমিদারের জমি চাষ করে যেটুকু ফসল পেতেন তার প্রায় সবটুকুই শেষ হয়ে যেত হাটতোলা, তোলবাটি, কাকাতাড়ানি, খামারচাছানি, সেলামি ইত্যাদি ১৫ রকমের কর বা আবওয়াব দিতে দিতে। একটা কর বাকি বা ফাঁকি হলেই শুরু হত নির্মম অত্যাচার। এইসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটাতে সংগঠিত হওয়ার জন্য শক্তি জুগিয়েছিল মধ্যচল্লিশের উল্লিখিত ঘটনাপুঞ্জ। ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে হায়দ্রাবাদের তেলেঙ্গানায় কৃষক সংগ্রাম শুরু হলেও পরের মাসে কোলকাতায় ঘটে গেল ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যদিও তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ১৯২৫ সাল থেকে শুরু করে এমন কোনো বছর ছিল না যে বছর ভারতে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। এই দাঙ্গার মাঝে হঠাৎ? করেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্লাউড কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তেভাগাকে বাস্তবে রূপায়িত করার ডাক দেয়। গভীর শ্রেণিচেতনার কারণেই এতসব নেতিবাচক ঘটনার মাঝেও বেগবান কৃষক-আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল, যা ছড়িয়ে পড়েছিল দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে নড়াইল, খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই আন্দোলনে সংগ্রামী কৃষকের সরাসরি প্রতিপক্ষ ছিল জমিদার ও তার লাঠিয়াল বাহিনী, সরকারি ঠ্যাঙাড়ে পুলিশবাহিনী। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শতাধিক কৃষককর্মী নিহত হন। দেশভাগের পরও এই আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৮-৪৯ সালেও তেভাগার আন্দোলনে ৬৮ জন কৃষক শহীদ হন।
বাংলার এই কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে ব্যাপক সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে, এমন নয়। মানিক-সমরেশ-গোলাম কুদ্দুস-আবু ইসহাক-নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়সহ ১৭ জন সাহিত্যিকের রচিত সাকুল্যে ২১-২২টি ছোটগল্প। আব্দুল্লাহ রসুলের আবাদ ও শিশির দাসের শৃঙ্খলিত মৃত্তিকা নামক উপন্যাস দু’খানি বাদ দিলে যা থাকে তা হল- আন্দোলনের সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রচিত কিছু কবিতা আর গান। তেভাগা আন্দোলনের গুরুত্ব বিবেচনায় এই সৃষ্টি অপ্রতুল হলেও গুরুত্বপূর্ণ। তেভাগা আন্দোলনকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে এইসব গান ও কবিতা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
এসব গান তখন সংগ্রামী কৃষকদের উদ্দীপ্ত করেছে। প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জীবনের অস্তিত্ব সংকটময় হয়ে পড়ায় মানুষ নিজেও তখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের জেগে-ওঠা সংগ্রামী সত্তা শোষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে শোষিতের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার অমর সংকল্প নিয়ে। শিল্পের সংগ্রামকে এখানেই রাজনীতির পরিপূরক হিসাবে দেখতে পাই আমরা। বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাস তার সংস্কৃতির ইতিহাসের সমান অবস্থান নিয়ে চলেছে। তাছাড়া সংস্কৃতিবান বাঙালি যেকোনো সংগ্রামের মধ্যেই প্রতিবাদকে শানিত করার অস্ত্র হিসাবে নিয়েছে সংস্কৃতিকে। তাই শিল্পের ইতিহাস ও সংগ্রামের ইতিহাসকে আলাদা করে দেখার উপায় নেই।
অপসংস্কৃতি মানুষের মনের ভালোমন্দ বোধ ও সুকুমার বৃত্তিগুলোকে ধ্বংস করে তাকে ঠেলে দেয় অবক্ষয়ের দিকে। সংস্কৃতিবানরা সমাজকে ধরে রাখতে চায় তার সাংস্কৃতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে। তাই তারা সমাজের অপশক্তিগুলোর টার্গেটে পরিণত হয়। উদীচী ও ছায়ানটে বোমা হামলা তারই পরিচায়ক। মোটকথা, মনুষ্যত্ব ও মানব সাধনাই-সংস্কৃতি। একমাত্র এই সাধনাই জীবনকে করতে পারে সুন্দর ও সুস্থ। অপসংস্কৃতি সবসময় মানুষকে নৈতিক অবক্ষয়ের পথে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চলে মধ্যযুগের পথে। একজন সংস্কৃতবান মানুষ এই পরিস্থিতি রুখে দাঁড়াবে, এটাই বাস্তবতা। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে, চলবে। লেখক : গবেষক ও সংস্কৃতিকর্মী
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ