তবুও জীবন
তবুও প্রাণ।
তবুও ট্রিলিয়ন বছর পেরিয়ে পৃথিবী দেখা।
এমন অনেক আত্মা কোথায় কে জানে
হোক বুক ছিঁড়ে যাওয়া ব্যথা, দীর্ঘশ্বাস।
তবুও জীবন, তবুও ঘ্রাণ মানবাত্মার
বসন্তের বাতাসে গড়িয়ে আসা ফুলের
হোক হাহাকার
একাকিত্বের বিষাদ গীতি।তবুও দিনশেষে মসজিদে আজান,
মন্দিরে ঘন্টা, ধর্মীয় সুন্দর সামাজিকতা
হোক সমজাতীয় রক্তের দূরত্ব
অচেনা মুখের হাসি।তবুও ভেবে তৃপ্তি
একদিন হেঁটেছি কাঁধে হাত রেখে বেখেয়ালে উদাস দুপুরে।
হোক দূরত্ব, বন্ধু বেশে সাধারণ পরিচিত মানুষ।
তবুও অনুভব করি
চায়ের কাপে ভাগাভাগি
বৃষ্টি দিনে হাঁটাহাঁটি শহরের অলিগলি।হোক প্রেমিকার প্রতারণা
মিথ্যে বীরত্ব, আমার অসহায়ত্ব
তবুও মনে পড়ে ভোরের অপেক্ষায় ছিলাম একদিন
গুলশানে ফুলের দোকানে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে।হাসপাতালে বিছানায় ক্যান্সারে যে বয়স্ক জীবন মৃত্যুর মধ্যেখানে
তাঁর গোপন হাসি সাক্ষী দেয় ৭১ এ যুদ্ধের মুখোমুখি এ বাংলাদেশ তার।
অকালে আঠারোয় যে যুবক জীবন বলি দেয়
তার শেষ হাসি সন্তুষ্টির
খাবার তুলে দিয়েছিল অনাহারীর মুখে।এভাবেই জীবন সন্তুষ্টির ব্যাথা বুকে রাখলে ওজন তার এক পৃথিবী সমান।
নয়াশতাব্দী/জেডেএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ