ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুভ জন্মদিন সেলিনা হোসেন

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুন ২০২৩, ১৩:৫৪
নন্দিত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ফাইল ছবি

নন্দিত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন তিনি রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম এ কে মোশাররফ হোসেন এবং মায়ের নাম মরিয়মন্নেসা বকুল। সাত ভাইবোনের মধ্যে সেলিনা হোসেন হচ্ছেন চতুর্থ।

সেলিনা হোসেন ১৯৫৪ সালে বগুড়ার লতিফপুর প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে রাজশাহীর নাথ গালর্স স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি এখান থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন শেষ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বিএ অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এমএ পাস করেন।

সেলিনা হোসেনের লেখালেখি শুরু স্কুলে পড়ার সময়েই। কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের ভুবনে প্রবেশ করলেও ১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বেছে নেন কথাসাহিত্যকে। মূলত ছাত্রজীবনের বামপন্থি রাজনীতি সেলিনা হোসেনের লেখালেখির ধারা নির্মাণ করে দেয়। জীবন ও বাস্তবতার আলেখ্য হিসেবে তার লেখাগুলো পাঠকের হৃদয়ে আলাদাভাবে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় সেলিনা হোসেনের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উৎস থেকে নিরন্তর’। তার প্রথম উপন্যাস ‘জলোচ্ছ্বাস’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। তার ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ ও চর্যাকারদের নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস।

এর মধ্যে ৩১টি উপন্যাস, ১১টি গল্পগ্রন্থ এবং ৯ প্রবন্ধের গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। এছাড়াও তার ৩০টি শিশুতোষ গ্রন্থ আছে।

সেলিনা হোসেনের গল্প-উপন্যাস ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, মালয়ালাম, ফরসি, জাপানি, কোরিয়ান, উর্দু, ফিনিস(ফিনল্যান্ড), আরবিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েটি ভাষায় অনুদিত হয়।

সেলিনা হোসেনের কর্মজীবন শুরু বাংলা একাডেমিতে; গবেষণা সহকারী হিসেবে। ২০ বছরের বেশি সময় তিনি 'ধানশালিকের দেশ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হন। তিনি শিশু একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান।

সেলিনা হোসেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪ এবং শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য এ বছর আনন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫ লাভ করেন। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ