ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চারণ কবি মুকুন্দদাসের প্রয়াণ দিবস আজ 

প্রকাশনার সময়: ১৮ মে ২০২৩, ১৩:৪২

বাংলার চারণ কবি মুকুন্দদাসের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৩৪ সালের ১৮ মে স্বদেশি যাত্রার প্রবর্তক মুকুন্দ দাস শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

স্বদেশী ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় বহু স্বদেশি বিপ্লবাত্মক গান ও নাটক রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। মাতৃপূজা, সমাজ, আদর্শ, পল্লীসেবা, সাথী, কর্মক্ষেত্র, ব্রহ্মচারিণী, পথ উল্লেখযোগ্য রচনা রয়েছে তার। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় মুকুন্দদাস একের পর এক গান, কবিতা ও নাটক রচনা করে বাঙালির জাতীয় জীবনে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করেন। মুকুন্দ দাস মাতৃপূজা নামে বিখ্যাত একটি নাটক রচনা করেন। দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে নবগ্রামে এই নাটকের প্রথম প্রকাশ্য যাত্রাভিনয় হয়। এরপর ব্রিটিশ সরকার রাজদ্রোহের অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন ও বিচারে তাকে দিল্লি জেলে আড়াই বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মাতৃপূজা নাটকটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে।

ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণার বানরী গ্রামে ১৮৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার জন্মের পরে ওই গ্রাম পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলে তারা সপরিবারে বরিশাল শহরে চলে আসেন। এরপর বরিশালে বৈষ্ণব সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূত তার গলায় হরিসংকীর্তন ও শ্যামাসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে দীক্ষা দিয়ে তার নাম রাখেন মুকুন্দদাস। উনিশ বছরের বয়সের মধ্যে মুকুন্দদাস সাধন-সঙ্গীত নামে একশখানি গান সমৃদ্ধ একখানি বই রচনা করেন। বরিশাল হিতৈষী পত্রিকায় লিখতেন। যাত্রাগানে সারা বরিশাল মাতিয়ে রাখতেন।

চারণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি বরিশালের কাশীপুর কালীমন্দিরের জায়গা কেনেন। যা এখন বরিশাল নগরীতে ঢোকার মুখে নথুলাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন চারণকবি মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি হিসেবে পরিচিত।

কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথাক্রমে বাংলা মায়ের দামাল ছেলে চারণ-সম্রাট মুকুন্দ উপাধিতে ও সন্তান আখ্যায় ভূষিত করেন।

নয়া শতাব্দী/এসএম/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ