শীতকালে অনেকেই চুলে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-যুবক— সবরাই খুশকি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে মাথার চুলে খুশকি হতে পারে। যে কারণেই খুশকি হোক না কেন, সেটি দূর করতে হবে। তাহলেই চুল থাকবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
যাদের চুলে খুশকি আছে, শীতকালে তাদের বিব্রত হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। চুল আঁচড়াবার সময় চিরুনি তো বটেই, খুশকির হাত থেকে রেহাই পায় না জামাকাপড় বা বালিশও। দেখতে খারাপ লাগার পাশাপাশি খুশকির কারণে ব্যাহত হয় চুলের স্বাস্থ্যও।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, জীবনযাপন প্রণালির মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুস্থ থাকার সব উপাদান। সুস্থ জীবনযাপনই আপনাকে খুশকি থেকে দূরে রাখতে পারে।
এখানে খুশকি দূর করার কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
চুল খুশকিমুক্ত রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি বেশি হয়। ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা যাবে না। চুল ভালো করে মুছে নিতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। যাঁদের খুশকি বেশি হয়, তাঁরা প্রতিদিন চুলে পরিমিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর
প্রতিদিন রাতে নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল গরম করে মিশিয়ে নিন। আঙুলের ডগায় তেল নিয়ে তা ভালো করে মাসাজ করুন চুলে। এরপর চুল বেঁধে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এমন করলেই খুশকি কমবে।
আদা আর লেবুর রস
লেবু আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তা মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ শুকাতে সময় হবে। তারপর শ্যাম্পু করে নিলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
টকদই
ভালো করে টকদই ফেটিয়ে নিন। এবার তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর মাথা শুকিয়ে গেলে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। এবার তা মাথায় লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। মাথায় তা শুকিয়ে গেলে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ার আঙুল দিয়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন। সোডা শুকিয়ে গেলে তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে খুশকি দূর হবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ