শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা। শরতের শুভ্রতায় আকাশের বর্ণিল রঙের ভেলায় চেপে এসেছে দুর্গাপূজা। বাতাসের তালে কাশফুলের মাথা দোলানো আর ঢাকের গুড়গুড় শব্দ জানান দিয়েছে সেই মহালগ্নের। দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবে সনাতনীদের মনে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। উৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সাজ সাজ রব, মধুর আয়োজন। উৎসবের আয়োজনে নতুন পোশাক তো থাকবেই। পূজার পোশাক মানেই সাদা-লালপেড়ে শাড়ি। আর সাদা হলো পবিত্রতা ও শান্তির প্রতীক। এই দুয়ের মিলে ফুটে ওঠে পূজার চিরন্তন রূপ। তবে এখন এসেছে নতুনত্ব। কামিজ, গাউন, ফতুয়া, শার্ট, কুর্তি, টি-শার্ট; সবই থাকছে পূজার উৎসবে।
যেমন পোশাক পড়বেন: পূজার পোশাকের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সেটি আরামদায়ক কিনা। কারণ এসময় দিনের বেলা গরম এবং রাতে খানিকটা ঠাণ্ডা ভাব থাকে। তাই খুব বেশি পাতলা কিংবা খুব বেশি মোটা পোশাক না পরাই ভালো। দুর্গাপূজায় মূলত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সাজ-পোশাকের পর্বটি জমজমাট থাকে। ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে সাজ থাকে পরিমিত। তবে অষ্টমীতে একটু মন ভরে সাজতেই বেশি পছন্দ করেন সবাই।
বাঙালি নারীর বন্ধু শাড়ি:
পূজার পোশাকে দোলে শিশুর মন:
পূজায় শিশুদের পোশাক নির্বাচনে খেয়াল রাখুন। শিশুর আরামের দিকে খেয়াল রেখে পোশাক নির্বাচন করুন। কারণ অনেকে শিশুর জন্য জমকালো পোশাক কিনে দিলেও শিশু সেটি পরে অস্বস্তিবোধ করে। শিশুর জন্য সুতি, জর্জেট, সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ের নানা রঙের পোশাক পাবেন। ফ্রক, লং ফ্রক, কামিজ কিনে দিতে পারেন শিশুকে। শিশু ছেলে হলে তার জন্য শার্ট, পাঞ্জাবি, টি শার্ট, প্যান্ট, ধুতি ইত্যাদি কিনে দিতে পারেন।
পাঞ্জাবিতে স্বস্তি: পূজা মানে পাঞ্জাবি লাগবেই। পাঞ্জাবি ছাড়া পূজা যেন ভাবাই যায় না। বর্তমানে পূজাতেও পাঞ্জাবির কাটছাঁট, ডিজাইন আর কলারে এসেছে পরিবর্তন। লং প্যাটার্নের পাশাপাশি সেমি লংও চলছে। রেগুলার ফিটের পাশাপাশি স্লিমফিট এখন ফ্যাশনেবল। পাঞ্জাবির গলায় এবার ব্যান্ড কলার, শার্টের কলার ছাড়াও সাদামাটা কাট চোখে পড়বে।শেরওয়ানি গলার পাঞ্জাবি এখন অনেকেরই পছন্দ। সুতার কাজ ছাড়াও ভিন্ন কাপড়ের প্যাঁচওয়ার্ক, মেশিন অ্যাম্ব্রয়ডারি, ব্লক বেশ চলছে। স্ট্রাইপ ও প্রিন্ট পাঞ্জাবিও রয়েছে। পূজা কিছুটা গরম আর বৃষ্টির সময়টাতে হওয়ায় পাঞ্জাবির কাপড় যাতে আরামদায়ক হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
মন মাতে ক্যাজুয়ালে: ছেলেরা পরতে পারেন ক্যাজুয়াল পোশাক। ক্যাজুয়াল পোশাকের মধ্যে গোল গলা ও কলার দুই ধরনের টি-শার্টই এখন চলছে। একরঙা ও চেকের টি-শার্টেরও কদর বেশ। বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় কিংবা পূজামণ্ডপে ঘোরার সময় টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া পরা যায়। এখন ব্লক, বাটিক, স্কিনপ্রিন্টসহ নানা ধরনের কাজ হচ্ছে টি-শার্টগুলোতে।
বয়স্কদের পূজার পোশাক: বয়স্কদের জন্য আরামদায়ক পোশাক নির্বাচনই ভালো। বিভিন্ন ধরনের সুতি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, সিল্ক শাড়িতে চিকন পাড়ে হালকা রং নকশা যেমন চোখে পড়বে তেমনি চওড়া পাড়ের শাড়িও আছে। তবে বয়স্কদের শাড়ির পাড় হালকা রাখা হয়েছে। নকশায় তুলে আনা হয়েছে পূজার পটভূমিতে তৈরি বিভিন্ন মোটিভ। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে আরামদায়ক ফেব্রিক এবং লুজ ফিটিংয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কলারে চিকন কাজ হালকা রং ব্যবহার হয়েছে। শার্টে ব্যবহার হয়েছে পূজার বিভিন্ন মোটিভ।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ