কিছু মানুষ আছেন, যারা দিনের যে কোনো সময়ে ওটস খেতে ভালবাসেন। তাতেই আরাম হয় শরীরে। সকালে দইয়ের সংগে ওটস তো, রাতে আবার ওটস দিয়ে তৈরি করে ফেলেন খিচুড়ি। এই খাবার অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যে উপকারও হয় অঢেল।
চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, ওটস খাওয়ার জন্য কোনও শ্রেষ্ঠ সময় হয় না। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ যে কোনো সময়ে ওটমিল খাওয়া যায়। তাতে শরীর পায় নানান ধরনের ভিটামিন। ফলে সচল এবং সুস্থ থাকা সম্ভব।
ওটসে থাকে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, নাম ট্রিপ্টোফ্যান। এর প্রভাব স্নায়ুর উপরে পড়ে। তাতে হাল্কা আচ্ছন্ন ভাব আসে শরীরে। তাই পেট ভরে ওটস খেয়ে বিশ্রাম নিলে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।
'সাইকোলজি টুডে' পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই খাবারের প্রভাবে শরীরে ইনসুলিনও তৈরি হয়। সেই ইনসুলিনের প্রভাবে আবার ট্রিপ্টোফ্যান পৌঁছায় মস্তিষ্কে। সেখানে গিয়ে তার থেকে সেরোটোনিন তৈরি হয়। সেরোটোনিন হল সেই পদার্থ যার মাধ্যমে ঘুম, মনের ভাব, ব্যথা-বেদনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
সেরোটোনিন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হলে উদ্বেগ-অবসাদ কম থাকে। আর ঘুম ভালো আসে। ফলে রাতের দিকে ওটস খেলে নিশ্চিন্ত নিদ্রা লাভ করা যেতেই পারে! তাই ওটস-এর খিচুড়ি আপনাকে যেমন দিবে স্বাস্থ্যের অঢেল উপকার সংগে পাবেন ভরপেট খাবারের তৃপ্তি।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ