ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে যাত্রা পথে প্রচণ্ড গরমে অনেকের হিট স্ট্রোক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
কোন উপসর্গগুলো দেখা দিলে সাবধান হবেন?
অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে পেশিতে টান পড়া (হিট ক্র্যাম্প), অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করা (হিট ফ্যাটিগ) এবং হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কিছু উপসর্গ দেখা দিলে সাবধান হওয়া জরুরি।
রোদে শরীরের পানির অংশ শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। ফুলে যেতে পারে শরীরের নানা অংশ।
হিট স্ট্রোক হলে দেহের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারানো এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতি খারাপ হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
সুরক্ষিত থাকতে করণীয়
দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি। এসময় যাত্রা না করার চেষ্টা করুন। হালকা রঙের সুতি পোশাক পরুন। এতে ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতা না পরে খোলামেলা স্যান্ডেল বা চপ্পল পরুন। অবশ্যই সানগ্লাস, ছাতা ইত্যাদি নিয়ে বের হবেন। সূর্যের আলো যেন শরীরে সরাসরি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বিকেলে রওনা দিলে যাত্রাপথে ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত ঘন ঘন পানি পান করুন। অনেকে গরম থেকে বাঁচতে কোমল পানীয়, সোডা, এনার্জি ড্রিংক খেয়ে থাকেন। এতে শরীর আরও দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এগুলো না খাওয়াই ভালো। তার বদলে পান করতে পারেন লেবু/তরমুজ/বেলের শরবত, লাচ্ছি ইত্যাদি।
হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চাইলে সেহেরি বা ইফতারে বাসি খাবার খাবেন না। খাদ্যতালিকায় পরিমিত প্রোটিন রাখুন। অসুস্থ বোধ হলে অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সঙ্গে থাকা শিশু বা পোষ্যের সঠিক যত্ন নিন। গরমে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এমনকি জ্ঞানও হারিয়ে ফেলতে পারে। একটি সুতি কাপড় পানি দিয়ে ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিন। এতে দেহের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
এই গরমে ঈদ যাত্রায় শারীরিক সমস্যাগুলো এড়াতে আগে থেকেই সচেতন থাকুন। নয়তো বড় বিপদ ঘটতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ