রমজানে ওজন ঠিক রাখতে ডায়েট নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। ইফতার-সাহরিতে কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাবে না, এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নয়। একদিকে ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খেতে খুব মজা লাগে অন্যদিকে এগুলো খেলে ওজন তো বাড়েই, সেই সঙ্গে পেটের সমস্যা, পেটে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা হয়।
ওজন বেড়ে যায় বলেই শরীরে মেদ জমে। এর পেছনে মূল কারণ হলো আমাদের খামখেয়ালিপনা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। অতিরিক্ত ওজন মানেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকি ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেই হবে।
রোজায় দীর্ঘ সময় পর ইফতার করতে হয় বলে খাবারটা হতে হবে সহজ ও সুপাচ্য। অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার না খেয়ে ইফতারে খেতে পারেন নরম খিচুড়ি, চিড়া-দই–কলা, খেজুর, স্যুপ, সাগু, ডিম সেদ্ধ, কম চিনি দিয়ে দুধ-সেমাই, সুজি, পায়েস, ফিরনি, অল্প তেলে ছোলা সেদ্ধ, আলুবড়া, ডালবড়া, ডিমের চপ। তবে প্রতিদিন একটি বা দুটির বেশি নয়। এগুলো দিয়ে মুড়ি মাখাও খেতে পারেন ধনেপাতা, টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ দিয়ে।
ইফতারে ভরাপেটে খাবার না খেয়ে বরং পানি, জুস ও ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সাহরির আগে অন্য কিছু না খেয়ে রাত ১০টার দিকে যেকোনো মৌসুমি ফল বা এক গ্লাস লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। রাতে হালকা ব্যায়াম করুন। শরীরের উপর জোর দিয়ে কোন ব্যায়াম করবেন না। সাহরিতে দেড় কাপ ভাত খাবেন। সঙ্গে রাখুন সালাদ। দুটি লাল আটার রুটি বা ওটসের রুটি সঙ্গে সবজি আর খুব অল্প তেলে গ্রিল করা মুরগীর মাংস বা মাছ খেতে পারেন।
এছাড়া খেতেে পারেন আলু। মাছ, মুরগির মাংস, সবজিতে পরিমিত মাত্রায় আলু দিলে তা শরীরের ক্ষতি করে না। আলু সেদ্ধ করেও খাওয়া যেতে পারে ভাতের বিকল্প হিসেবে। তবে কখনোই আলুর চিপস নয়। গরু ও খাসির মাংসকে আপাতত না বলে দিন। তবে ডিম প্রোটিনের দারুণ উৎস হিসেবে প্রতিদিন একটি খেতে পারেন, যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে। রাতে দুধ পানের অভ্যাস না থাকলেও সেহেরির সময় এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন কিংবা টক দইও খেতে পারেন। মনে রাখবেন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মানে কিন্তু খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। পরিমিত খান, এই রমজানেও থাকুন সুস্থ ও সুন্দর।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ