লবণ পরিমিত না খেলে আমাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। বিশেষ করে কিডনি সবার আগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞের মতে, সারাদিনে লবণ খাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করুন যে দিনে শুধুমাত্র ১ চা চামচ (৫ গ্রাম) লবণ খাওয়া যাবে এবং এর বেশি নয়। এর কারণ হলো আমরা অন্যান্য খাবার থেকেও সোডিয়াম পেয়ে থাকি। তাই খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ যোগ না করাই উত্তম। দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করে সহজেই লবণের ব্যবহার কমাতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বাড়িতে রান্না: এটি কেবল পকেট-বান্ধবই হবে না, সেইসঙ্গে বাড়িতে রান্না করা আপনাকে লবণ খাওয়া নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করতে পারে। সরাসরি লবণ ব্যবহার করার পরিবর্তে ভেষজ এবং মসলা ব্যবহার করতে পারেন। এতে খাবার আরও পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: বাজারে যে প্যাকেজড স্ন্যাকস পাওয়া যায় সেগুলোতে উচ্চ মাত্রার লবণ রয়েছে। এই খাদ্যপণ্যে অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় লবণ থাকে যা এগুলোকে সুস্বাদু করে কিন্তু আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লবণাক্ত স্ন্যাকস কেনার পরিবর্তে ফল, বাদাম এবং বীজের মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাওয়ার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কম সোডিয়াম সহ ফল এবং শাকসবজি খান: আপনার লবণ খাওয়া কমানোর আরেকটি উপায় হলো কম সোডিয়াম কন্টেন্টযুক্ত ফল এবং সবজি খাওয়া। ফল এবং সবজি যেমন আপেল, বেরি, কমলা, আম, ব্রকলি, মিষ্টি আলু, ঢেঁড়স ইত্যাদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত। কারণ এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে।
আচার, পাপড় এবং চাটনি সীমিত করুন: আচার, পাপড় এবং চাটনি অবশ্যই খাবারের স্বাদ আরও ভালো করে তোলে তবে এতে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। আপনি যদি প্রতিদিনের খাবারে এগুলো গ্রহণ করেন তবে খাবারে লবণের মাত্রা কম রাখুন। এতে সমন্বয় করা সহজ হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ