সব রাগ-অভিমান ভুলে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরার দিন আজ। এই দিবসকে বলা হয় ‘গ্লোবাল হাগ ইওর কিডস ডে’। প্রতিবছর জুলাই মাসের তৃতীয় সোমবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়।
একটি হাগ, আলিঙ্গন বা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে আপনি সন্তানদেরকে কতটা ভালোবাসেন তা বুঝিয়ে দিতেন পারেন। আর সন্তানরাও আলিঙ্গন পেলে আরাম অনুভব করে, নিরাপত্তা ও আস্থা পায়।
আলিঙ্গন হলো ভালবাসার স্বাভাবিক প্রকাশ। এটি স্ট্রেস রিলিভার বা দুশ্চিন্তা কাটাতেও সাহায্য করে। জানলে অবাক হবেন, সন্তান হোক বা প্রিয়জনকে আলতো করে স্পর্শ করার আছে নানা উপকারিতা।
জড়িয়ে ধরলে কী কী উপকার মেলে?
জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে মনে ভিন্ন এক সুখ ও শান্তি হয়। যখন কেউ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন তখন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখের অনুভূতি দেয়।
এমনকি এই হরমোন সামাজিক বন্ধন বাড়াতেও সাহায্য করে। নিউরো-পেপটাইড অক্সিটক্সিন হরমোন আমাদের মধ্যে সততা ও অনুরাগ বাড়িয়ে তোলে।
যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতেও আলিঙ্গন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে শুধু মনকেই নয় বরং শরীরকেও ভালো রাখতে পারেন।
যখন কেউ প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরেন তখন ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামক প্রেসার রিসেপটর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আলিঙ্গনের চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না। কারণ প্রিয়জনের সামান্য স্পর্শ প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট।
কোনো কাজ করার আগে, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ বয়সের সঙ্গে একাকিত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে কাটানো যায়।
আমরা যখন কাউকে জড়িয়ে ধরি, তখন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসারিত হয়। এই হরমোন স্ট্রেস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে।
প্রিয়জনকে যত বেশি জড়িয়ে ধরবেন, ততই কমবে কর্টিসোল হরমোনের পরিমাণ। মানসিকভাবে শান্ত রাখতে পারে একটি ছোট্ট হাগ বা আলিঙ্গন।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ