ঢাকা, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

সাপে কামড় দিলে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুন ২০২৪, ১৯:১৯

বছরের অন্য সময়ের চেয়ে গরম আসলেই সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। তবে এবার সাপের আনাগোনা বেড়েছে। বিশেষ করে রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আতঙ্ক। সাপ কামড় দেয়ার ঘটনা প্রায় সময় শোনা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সাপের কামড়ে মৃত্যুও খবর শোনা যাচ্ছে। সাপ কামড় দিলে কী করা উচিত এবং কোন বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে তা অনেকের অজানা।

সাপে কামড় দিলে করণীয়

১.সাপ কামড় দিলে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। একটি লম্বা কাঠ ও কাপড়ের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানটি বেঁধে ফেলুন। খুব বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না, এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন আক্রান্ত অঙ্গ ও কাপড়ের মাঝে কষ্ট করে একটি আঙুল ঢোকানো যায়।

২.যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে। সাপ কামড় দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা নিলে রোগী সেরে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

৩.বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজে এবং কিছু কিছু জেলা সদর হাসপাতালে সাপের বিষের প্রভাবপ্রতিরোধী ওষুধ (অ্যান্টিভেনোম) মজুত রয়েছে। এটিই বিষধর সাপে কাটা রোগীর জন্য একমাত্র চিকিৎসা। রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে এলে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রয়োজনও হতে পারে। মনে রাখবেন, এসব চিকিৎসা শুধু হাসপাতালেই করানো সম্ভব, অন্য কোথাও নয়।

৪.আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে, রক্তক্ষরণ হলে, চোখের পাতা পড়ে গেলে, ঘাড় শক্ত রাখতে না পারলে, হাত-পা অবশ হয়ে এলে ও শ্বাসকষ্ট হলে একটুও দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

৫.সাধারণত নির্বিষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত স্থানে সামান্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা অল্প ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এসব লক্ষণ থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, যেকোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

যে কাজগুলো করা যাবে না

দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা

আক্রান্ত স্থান কাটা

অ্যান্টিহিস্টামিন ইনজেকশন প্রয়োগ করা

আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা

আক্রান্ত স্থানে গোবর, শিমের বিচি, আলকাতরা, ভেষজ ওষুধ বা কোনো প্রকার রাসায়নিক লাগানো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ