বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই প্রিয় একটি ফল। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। নানা রকম অসুখের থেকে আপনাকে দূরে রাখবে লিচু।
জেনে নিন লিচু খাওয়ার উপকারিতা-
হাড় ভালো রাখে: লিচুতে থাকে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার। এসব উপাদান হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিচু খেলে কমে হাড়ের ভঙ্গুরতা। সেইসঙ্গে হ্রাস পায় অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনাও। তাই হাড় ভালো রাখতে লিচুর সময়টাতে খেতে পারেন সুমিষ্ট এই ফল।
কিডনির জন্য উপকারী: কিডনি ভালো রাখতে খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। লিচুতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে তা কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায়। যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ: লিচুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি, কে, ই এবং বি৬। এতে আছে রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনও। গ্রীষ্মে আপনি নিয়মিত লিচু খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬ এর দশ শতাংশ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন সাহায্য করে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে। সেইসঙ্গে আপনাকে রক্ষা করে প্রদাহজনিত রোগ থেকে।
ব্যথা দূর করে: শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে কাজ করে লিচু। শুনতে অবাক করা হলেও এটি সত্যি। লিচু একটি কার্যকরী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে কমে প্রদাহ। সেইসঙ্গে এটি টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে সুমিষ্ট ফল লিচু। এর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে বাধা দেয়। তাই গরমের এই সময়ে নিয়মিত লিচু খেলে বাঁচতে পারবেন সর্দি ও সাধারণ ফ্লু থেকে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার হতে পারে লিচু। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম। যে কারণে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। আঁশযুক্ত হওয়ার কারণে লিচু খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। নিয়মিত লিচু খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়।
হার্ট ভালো রাখে: হার্ট ভালো রাখার পক্ষে সহায়ক একটি ফল হলো লিচু। এতে থাকে অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লিচু খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ।
নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ