এই গরমে সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জের। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি গ্রীষ্মকালে। গরমে গর্ভবতীরা প্রায়শই অসুস্থ বোধ করেন। এসময় তাই গর্ভবতী নারীকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী নন এমন নারীর তুলনায় তাড়াতাড়ি ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক বা অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণ হলো গর্ভবতী নারীর শরীর এবং বিকাশমান শিশু উভয়কেই ঠান্ডা করার জন্য তাদের শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
এ ছাড়াও, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের প্রবণতা বেশি, যার ফলে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, গলা শুকিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, প্রস্রাব না হওয়া, জ্বর, বিরক্তি এবং ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে যদি একজন গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠে, তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসি অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং গর্ভাবস্থায় জ্বর জন্মগত ত্রুটি এবং অন্যান্য গর্ভাবস্থার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
গর্ভবতী মায়েরা যেসব কাজ করবেন না
গর্ভবতী নারীরা হিট ওয়েভ প্রতিরোধে যা করবেন
* ঢিলেঢালা এবং সুতির পোশাক পরুন।
* প্রখর রোদে ভ্রমণ বা হাঁটা এড়িয়ে চলুন।
* সাদা ছাতা সঙ্গে রাখুন এবং বাইরে যেতে হলে হালকা পোশাক পরুন।
* প্রচুর পানি, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস, মৌসুমি ফল, বাটার মিল্ক এবং দই পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।
* ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখুন।
* উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
তাপপ্রবাহ অপ্রত্যাশিত এবং কখনও কখনও অনিবার্যও। যদিও যে কেউ এটি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, তবে গর্ভবতী নারীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করা হয়। গর্ভবতী নারীদের উচ্চ তাপমাত্রার সময় বাইরে যাওয়া এড়াতে হবে। শরীরকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময় ঢিলেঢালা এবং আরামদায়ক পোশাক পরলে তা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ