আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরও কমেনি ঔষধি গাছ বা লতাপাতার ব্যবহার। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক গাছপালা, উদ্ভিদ বা তরুলতা আছে, যা মানুষজন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করে আসছেন। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি ওষুধের ক্ষেত্রে এসব গাছ-গাছড়ার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের মতে, ‘পৃথিবীজুড়ে ৫০ হাজারের ওপর এমন গাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে, যা মানুষ নানা কাজে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশেও এরকম প্রায় দেড় হাজার প্রজাতির তথ্য রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৮০০ প্রজাতির গাছ ও উদ্ভিদের ঔষধি ক্ষমতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি’। আমরা আজ আলোচনা করব ৩ টি ঔষধি গাছ নিয়ে। যা ব্যবহার করে আপনি পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ারসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. মেন্দা
এই গাছটি বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে চাপাইত্তা, কারজুকি, রতন, বা খারাজুরা নামেও পরিচিতি। গ্রামাঞ্চলে এখনও পেটের পীড়া, রক্ত-আমাশা হলে মেন্দা পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়। ঔষুধি গাছ নিয়ে গবেষণা করা গবেষক ড. তাহমিনা হক বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, মেন্দা পাতা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।এই গাছের বাকল ও পাতা উভয়ই ব্যবহার করা হয়। একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্যও এটি মালিশ করা হয়।
২. বনধনে পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর বনধনে। ঘা-পাঁচড়ার নিরাময়ে এ গাছের পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়।
৩. ভাট ফুল বা বনজুঁই কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য বেশ উপাকারি ভাট ফুল, যা বনজুঁই নামেও পরিচিত। কাঁচা হলুদের সঙ্গে এর পাতার রস মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ানো হয়। যারা চর্ম রোগ আক্রান্ত, তারা এই ফুলের রস মালিশ করে বেশ উপকার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ