চুল সাদা হওয়া বা পেকে যাওয়ার সঙ্গে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরবে এটা সাধারণত সবারই জানা। কিন্তু অনেকের অল্প বয়সেই চুল পাকতে শুরু করে। তখন অনেকেই পাকা চুল তুলে ফেলেন আবার অনেকেই চিন্তায় পড়েন তুলবেন না রাখবেন।

এক-দুইটা পাকা চুল দেখা দিলে অনেকে মনে করেন, একটা পাকা চুল ছিঁড়লে, তার আশেপাশের চুল আরও সাদা হয়ে যাবে। ফলে পাকা চুলটি তুলে ফেলেন।

বয়স বৃদ্ধি সঙ্গে চুলে পেকে যাওয়া খুব সাধারণ বিষয়। কিন্তু সেগুলো তুলে ফেললে তার আশেপাশে আরও পাকা চুল গজাবে, এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণা। কিন্তু কম বয়সে কেন চুলে পেকে যায় এবং পাকা চুল ছিঁড়ে ফেলা কি উচিত কি না, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

স্ক্যাল্পের যে অংশ দিয়ে চুল জন্মায়, সেই ফলিকলের চারপাশে মেলানোসাইট রয়েছে, যা মেলানিন তৈরি করে। এই মেলানিন চুলকে কালো রাখতে সাহায্য করে। এই মেলানিনের পরিমাণ কমতে শুরু করলেই চুলে ধূসরতা বাড়ে।

একটি চুলের ফলিকল দিয়ে একটিমাত্র চুলই গজায়। সুতরাং, আপনি যদি ওই এক-দুটো পাকা চুল ছিঁড়েও ফেলেন, সেই ফলিকল দিয়ে পুনরায় ধূসর চুলই গজাবে। এতে আশেপাশে চুলে কোনও প্রভাব পড়ে না।

যতক্ষণ না আপনার চুলের নিজস্ব রঙ্গক কোষগুলো মারা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত চুল সাদা হয় না। সুতরাং, পাকা চুল গোড়া থেকে তুলে ফেলার পরও ওই ফলিকল থেকে ধূসর রঙের চুলই বের হবে।

বয়সের সঙ্গে চুল পেকে যাবে-এই প্রক্রিয়াকে আপনি কোনোভাবেই আটকাতে পারবেন না। কিন্তু সময়ের আগে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং জেনেটিক্সের মতো বিভিন্ন কারণ দায়ী থাকে।

চুলের ফলিকলে থাকা মেলানিন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলে চুল সাদা হতে থাকে। এরপর আপনি যতই চুলের যত্ন নিন না কেন, চুলের কালো ভাব ফিরিয়ে আনা যায় না। তখন সাময়িকভাবে চুলকে কালো করতে হেয়ার কালার বা রুট টাচ-আপের সাহায্য নিতে হয়।

নয় শতাব্দী/এসএ