গর্ভাবস্থায় অনেক নারী গাঁজা সেবন করে থাকেন। তবে এবার গর্ভাবস্থায় নারীদের গাঁজা সেবন নিয়ে বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য। নতুন এক গবেষণা জানা গেছে, গর্ভাবস্থায় গাঁজা সেবন করেন তাদের অনাগত সন্তান স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। গাঁজা সেবনের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মায়েরা যত বেশি গাঁজা সেবন করবেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি তত বেশি বাড়বে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয় হাজারেরও বেশি মায়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় গাঁজা সেবন করলে কম ওজনের শিশুর জন্ম নিতে পারে।
ইউটাহ হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং এ গবেষণার প্রধান ডা. টরি মেটজ বলেন, গর্ভাবস্থায় ক্রমবর্ধমান গাঁজা সেবনের সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ার সম্পর্ক রয়েছে। গর্ভাবস্থায় গাঁজা সেবন না করাই ভালো।
দেখা যায়, যেসব নারী গর্ভাবস্থায় গাঁজা সেবন করেছিলেন তাদের কম ওজনের শিশু জন্ম, মৃত সন্তানের জন্ম বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার হার শতকরা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
মেটজ বলেন, ‘বিষয়গুলোকে একই সূত্রে বাঁধার কারণ হলো-তারা সবই প্লাসেন্টাল ফাংশনের সঙ্গে যুক্ত।’ পূর্বের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণী এবং মানুষ উভয়ের মধ্যে গাঁজা সেবন তাদের প্লাসেন্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। প্লাসেন্টা বিকাশমান ভ্রূণের জন্য পুষ্টি এবং অক্সিজেনের উৎস।
গবেষকরা যখন পৃথকভাবে সেই ফলাফলগুলোকে বিশ্লেষণ করেন, তখন তারা কম ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পান। মৃত সন্তান প্রসব, নবজাতকের জন্মপরবর্তী জটিলতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকিও ছিল।
নতুন গবেষণাটি ২০২১ সালের আরেকটি গবেষণার ফলাফলকে আরও শক্তিশালী করেছে। এর আগে যেসব মায়েরা তাদের গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে গাঁজা সেবন করেন তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা নথিবদ্ধ করা হয়েছিল।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ