ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুলকপি খেলে যেসব উপকার হয়

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:০৭

শীতকাল মানেই হলো সবজির মৌসুম। এ মৌসুমে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। শীতের এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি একটি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি। এটি সাধারণত রান্না করে, সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে বা ভেজে, নানান ধরনের সুপ তৈরি করে বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।

এতে রয়েছে মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। যেমন- ভিটামিন, খনিজ লবণ ও অন্যান্য উপাদান। সবজির এসকল খাদ্য উপাদান আমাদের নানা রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী কাজগুলোর মধ্যে ফুলকপির রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। এই ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি। তা ছাড়া শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও সালফার।

ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যা আমরা গ্রহণ করে আমাদের দেহের নিত্যদিনের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারি। তা ছাড়া মারণব্যাধি ক্যানসার প্রতিরোধে ফুলকপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুলকপি উদ্ভিদ জগতের ক্রুসিফেরি পরিবারের (Cruciferea Family) একটি উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা ওলেরেসিয়া Brassica Oleracea।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী ফুলকপিতে পুষ্টি উপাদান রয়েছে- আমিষ ২.৬ গ্রাম, শর্করা ৭.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৮ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪১ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৫ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪১ কিলোক্যালরি, ফসফরাস ৫৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৫৩ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক এসিড ১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১০.০২ মিলিগ্রাম, বি-২০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৯১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ০.০৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ১৫.৫ মাইক্রোগ্রাম, ফলেট ৫৭ মাইক্রোগ্রাম।

ফুলকপি সবজি ও মাছ, গোশতের সাথে তরকারি করে খাওয়া যায়। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সুতরাং ফুলকপির ডাঁটা ও কচি সবুজ পাতা খেয়ে দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারি। খনিজ পদার্থের মধ্যে মানবদেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

এছাড়াও মানবদেহের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার কোষ জন্মাতে বাধার সৃষ্টি করে ফুলকপি। ফুল কপিতে বিদ্যমান ফলে উপাদান রক্তের শ্বেতরক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। তাছাড়া এ উপাদানটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের দেহে রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে ফুলকপি বেশ ভালো সাহায্য করে। ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য একটি ভালো খাদ্য।

তবে যারা কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। কারণ ফুলকপিতে থাকা উদ্ভিজ আমিষ দুর্বল কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যারা গলার থাইরয়েড গ্রন্থির রোগে ভুগছেন তারা ফুলকপি খাবেন না। বেশি করে শীতের সবজি খান বিভিন্ন প্রকার রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকুন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ