ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজর না বিট, কোনটা খেলে মিলবে উপকার?​

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১২

বিট না গাজর, কোনটিতে উপকার মিলবে বেশি? স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে এ দুটি বেশ উপকারি বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। সেসব নিয়ে থাকছে আরও বিস্তারিত।

বিটের জুড়ি মেলা ভার​

বিটে রয়েছে ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি এর মতো অত্যন্ত জরুরি কিছু ভিটামিন ও খনিজ। সেই সঙ্গে এই সবজি হল অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত বিটের পদ খেলেই চোখের জ্যোতি বাড়বে। এমনকী বশে থাকবে হাই প্রেশার। শুধু তাই নয়, বরং শরীরের জোর বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই আপনার ডায়েটে মাঝে মাঝে বিটকে জায়গা করে দিতেই পারেন। এতেই পাবেন উপকার।

সেরার সেরা গাজর​

গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, বায়োটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬-এর মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত গাজর খেলে যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!

এছাড়া গাজর হল কার্যকরী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর আঁতুরঘর। তাই নিয়মিত এই সবজি খেলে যে চোখের অসুখ এবং হাই কোলেস্টেরলের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এই সবজির গুণে ওজনও হবে নিম্নমুখী। তাই আপনার রোজের ডায়েটে এই সবজিকে যত দ্রুত সম্ভব জায়গা করে দিন।

গাজর না বিট, কোনটা খেলে মিলবে উপকার?​

গাজর ও বিট এই দুইয়ের তুল্যমূল্য লড়াইতেই গাজরকেই কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হবে। আসলে বিটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের বিটের থেকে দূরে থাকতে হবে। বরং তাঁরা অনায়াসে গাজর খেতে পারেন।

এছাড়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অত্যধিক পরিমাণে বিট খেলে কিন্তু ক্যানসারের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে রোজ রোজ বিট না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ!

সালাদ হিসাবে খেতে পারেন​

গাজরের সমস্ত উপকার পেতে চাইলে আপনি স্যালাড হিসাবে গাজর খেতেই পারেন। এভাবে গাজর খেলেই একাধিক ক্রনিক ব্যাধির ফাঁদ এড়িয়ে চলতে পারবেন। তবে দিনে ১টা বা ২টির বেশি গাজর খাবেন না। নইলে যে গ্যাস, অ্যাসিডিটি সহ একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।

মাঝে মধ্যে বিটের তরকারি চলতেই পারে​

মনে রাখবেন, বিট কিন্তু বিষ নয়। তাই অহেতুক এই সবজির থেকে দূরত্ব তৈরি করার কোনও অর্থ নেই। বরং মাঝে মধ্যে বিটের তরকারি খেতেই পারেন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। তবে ডায়াবিটিসের রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত বিট খাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তাই সুস্থ থাকতে এই বিষয়টা মাথায় রাখুন।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ