অনেকেই সেদ্ধ, ভাজা এবং পোড়া খাবার পছন্দ করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে কোন পদ্ধতিতে রান্না করা খাবার স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে সেদ্ধ করা খাবার কি স্বাস্থ্যকর?
স্টিম বা ভাপে সেদ্ধ করলে সেই খাবারে পুষ্টি তো বজায় থাকেই, সেইসঙ্গে খাবারের আসল স্বাদও অটুট থাকে। যখন আপনি অনেক বেশি মসলা সহযোগে কোনো খাবার তৈরি করেন, তখন সেই খাবারটির মূল স্বাদ হারিয়ে যায়। কিন্তু সেদ্ধ করা খাবারের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না।
স্টিমিং বা ভাপ দেওয়া হলো রান্নার একটি কৌশল যেখানে গরম পানিকে বাষ্প হিসেবে ব্যবহার করে খাবার সেদ্ধ বা রান্না করা হয়। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।
পর্যাপ্ত উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে স্টিমিং করতে জানতে হবে। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে উপকারিতা নিজেই বুঝতে পারবেন।
সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডুবো তেলে ভাজা এবং ফোটানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করি, যা পুষ্টির ক্ষতি করতে পারে। শাক-সবজি এবং অন্যান্য খাবার স্টিমিং করলে তাতে সব ধরনের পুষ্টি বজায় থাকে। যে কারণে আমাদের শরীর বিভিন্ন পুষ্টি থেকে উপকৃত হয়।
ভাপে সেদ্ধ করা খাবার তৈরিতে তেল বা মসলার ওপর নির্ভর করতে হয় না, এটি পাচনতন্ত্রের কাজ সহজ করে দেয়। রান্নার এই পদ্ধতি নিশ্চিত করে যে আপনার খাবার সহজে হজমযোগ্য এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখে। অতএব, ভারী, চর্বিযুক্ত খাবারকে বিদায় বলুন আর ভাপে তৈরি খাবার বেছে নিন।
আপনি যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তবে স্টিমিং করা খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি দুর্দান্ত কাজ করে। কোনো তেল বা ঘি যোগ না করে এভাবে খাওয়ার অভ্যাস করলে পাবেন দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা।
স্টিমিং করা খাবার শুধু পুষ্টিগুণেই সেরা নয়, এটি দেখতে এবং খেতেও ভালো। স্টিমিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাবারে প্রাণবন্ত রঙ এবং স্বাদ ঠিক থাকে। সব ধরনের খাবারের স্বাদ ধরে রাখে। এভাবে রান্না করলে খাবার বেশি সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে স্টিমিং করা খাবার আপনার জন্য সেরা পদ্ধতি হতে পারে। ওজন কমানোর সময় অনেকেই শাক-সবজি বেছে নেন। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে রান্নার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে না। তাই এক্ষেত্রে স্টিমিং পদ্ধতিকে বেছে নিতে পারেন। এতে ওজন কমানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ