ওজন কমানোর জন্য আমরা নানান ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। কেউ কেউ না খেয়েও থাকেন। তবুও কমে না বাড়তে থাকে ওজন। অনেকের ধারণা রাতে না খেয়ে থাকলে ওজন কমে যাবে। তবে সত্যিই কি ওজন কমে? এ বিষয়ে কি বলছেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা?
ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ান শর্মিষ্ঠা রায় জানান, রাত ১০টা-১১টা না বাজলে আমাদের বেশিরভাগ পরিবারেই ডিনার হয় না। আর এটাই সমস্যার মূল কারণ। এত রাত করে খাবার খেলে তা শরীরের কোনো কাজে লাগে না। বরং এই কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার তীব্র আশঙ্কা থাকে।
তিনি আরও জানান, আসলে আমাদের দেহের বেশিরভাগ অঙ্গ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাজ করতে পছন্দ করে। এরপর তারা বিশ্রাম চায়। তবে আপনি যদি রোজ রাত করে খেয়ে এইসব অঙ্গগুলোকে ওভারটাইম করান, তাহলে অচিরেই তারা ধর্মঘট ডাকবে। তখন বুঝবেন ঠেলা। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরি।
এমন প্রশ্নের উত্তরে শর্মিষ্ঠা রায় জানালেন, রাত্রি ১০টা-১১টায় পেটপুরে খাবার খাওয়ার থেকে কিছু না খাওয়া অনেক ভালো। এতেই আপনি সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
তবে সন্ধা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ডিনার সেরে নিতে পারলে শরীরের একাধিক উপকার হবে। এমনকি এই নিয়ম মেনে চললে ওজনও কমবে দ্রুত গতিতে। তাই এবার থেকে সন্ধে সন্ধে ডিনার সেরে নিন।
হালকা খাবার খেলেই ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল: ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকলে আপনাকে ডিনারে হালকা খাবার খেতে হবে। পাতে রাখতে পারেন সবুজ শাক ও সবজির তরকারি। আর প্রোটিনের মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম বা সয়াবিনের মধ্যে নিজের পছন্দ মতো কিছু রাখুন। মনে রাখবেন, রাতের বেলায় ভাত, রুটির মতো কার্ব বেশি খেয়ে লাভ নেই। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি।
বেশি রাতে ক্ষুধা লাগলে স্যুপ খান : সন্ধায় ডিনার সেরে নেওয়ার পর অনেকেরই রাতের দিকে ক্ষুধা লাগতে পারে। তবে এই সময় ক্ষুধার চোটে কোনও ফাস্টফুড বা মিষ্টি খাওয়া চলবে না। এই কাজটা ওজন বাড়াবে। বরং রাতের দিকে অল্প ক্ষুধা লাগলে স্যুপ খান। খেতে পারেন ভেজিটেবল বা চিকেন সুপ। এতে ক্ষুধা যেমন কমবে, ঠিক তেমনই ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ