চুল পড়ার সমস্যা সারা বছরই কম-বেশি থাকে। চুল পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চুল গজায় না। অনেকেই তাই দ্রুত চুল গজানোর জন্য নানা ঔষধ ও চিকিৎসার সাহায্য নেন। দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার কিন্তু প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে চুল পড়া বেড়ে যায় আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো চুল পড়া কমাতে কাজ করে। চুল পড়া কমায় এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, চলুন সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নিই-
জিরা
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে জিরা। এতে থাকা প্রোটিন চুলের গোড়া শক্ত করতে কাজ করে। যে কারণে চুল পড়ার সমস্যা কমে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন। এটি রাতে রেখে দেবেন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করবেন। এভাবে নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে দ্রুতই।
কারি পাতা
আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ এই পাতা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চুলকে সুস্থ রাখতে ও চুল পাকা কমাতে বেশ উপকারী এই পাতা। সকালে খালি পেটে তিন-চারটি কারি পাতা সেবন চুল ও শরীর উভয়ের জন্যই ভালো।
বাদাম
বাদামের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য খুব কমই আছে। ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং বায়োটিনসমৃদ্ধ বাদাম চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
গোলমরিচ
আপনার যদি ঘন চুল পাওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে আস্থা রাখতে পারেন গোল মরিচে। তাই বলে আবার গোল মরিচ চুলে ব্যবহার করতে যাবেন না যেন! আসলে এই মসলা নিয়মিত খেলে চুল ঘন হয়। সেইসঙ্গে এটি চুল পড়া কমাতেও কাজ করে। চায়ের সঙ্গে সামান্য গোল মরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, ক্যারোটিনয়েড চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
দারুচিনি
দারুচিনিতে থাকে নানারকম ভিটামিন। শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে চুলের গোড়া মজবুত রাখতে কাজ করে এই ভিটামিন। দারুচিনি কেবল রান্নায় ফোড়ন হিসেবে নয়, চায়ের সঙ্গে কিংবা পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন। এভাবে নিয়মিত খেলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
তিল
বাঙালি রান্নায় তিল খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। চুল পড়া প্রতিরোধ করতে ও চুল ঘন করতে এটি বেশ উপকারী। তিলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে। যে কারণে তিল খেলে চুল ঘন ও কালো হয়। তাই রান্নায় নিয়মিত তিল ব্যবহার করুন। এতে পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
শসা
শসায় রয়েছে প্রচুর সিলিকন ও সালফার। চুলের বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় দুইটি উপাদান হলো এই সিলিকন ও সালফার, যা চুলকে হাইড্রেটেড রাখে ও প্রদাহ দূর করে।
শজনে ডাঁটা
ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্টেসমৃদ্ধ শজনে ডাঁটা চুলের ফলিকল সুস্থ রাখে। দুপুরের খাবারে কিংবা ডাল, সবজির সঙ্গে শজনে ডাঁটা চুলের জন্য উপকারী।
চিনাবাদাম
ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ চিনাবাদাম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে চিনাবাদামের উপকারিতা অনস্বীকার্য।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ