রবিশস্যের এই দেশে সারা বছরই কোনো না কোনো সবজি উৎপাদন হয়। আর এই সবজির মধ্যে অন্যতম এক সবজি হলো মিষ্টি কুমড়া। এর পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। ত্বক, চুলের উন্নতি থেকে শরীর সুস্থ রাখা, একাধিক উপকারিতা রয়েছে কুমড়ার।
শুধু কুমড়োই নয়, এর বীজও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হল কুমড়ার বীজ। চুলের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায় এই ধরনের বীজ। যাদের চুলের গঠন খুব পাতলা, সেক্ষেত্রেও উপকার পাওয়া যায় এই বীজের সাহায্যে।
জেনে নিন চুলের যত্নে কুমড়ার বীজ যেভাবে কাজ করে-
চুলের গঠন ঠিক রাখে
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি এবং কে, যা চুল মজবুত করে, চুলের ফলিকলে পুষ্টি যোগায় ও চুলের গঠন ঠিক রাখে। ওমেগা থ্রি স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজ করে, স্ক্যাল্পের শুষ্কতা এবং জ্বালা, চুলকানি কমায়। চুল ভাঙা ও ফাটার সম্ভাবনাও কমায়। তাছাড়া, কুমড়ার বীজে রয়েছে এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল বাড়তে সাহায্য করে।
চুল পড়া কমায় কুমড়ার বীজে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যৌগগুলো ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন উৎপাদনে বাধা দেয়। এটি এক ধরনের হরমোন, যা চুল পড়া আরও বাড়ায়। কুমড়োর বীজ এই হরমোন উৎপাদন কমিয়ে চুল পড়া আটকায় এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে।স্ক্যাল্প সুস্থ থাকে স্ক্যাল্প সুস্থ থাকলে তবেই চুল ভালো থাকবে। কুমড়ার বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে স্ক্যাল্পকে রক্ষা করে। এই বীজ খেলে মাথার ত্বকের প্রদাহ কমে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
যেভাবে বানাবেন কুমড়ার বীজের হেয়ার মাস্ক কুমড়ার বীজের হেয়ার মাস্ক বানাতে অর্ধেক কাপ কুমড়ার বীজ পিষে নিন। এই বীজের গুঁড়াতে ১ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং আধা কাপ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করে আরও এক ঘণ্টা হেয়ার মাস্কটি চুলে রেখে দিন। তারপরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ