মুখের সৌন্দর্যতার অনেকটাই নির্ভর করে ভ্রুর উপর। তাই রূপচর্চার পাশাপাশি ভ্রুকে সুন্দর রাখতেও বেশ কসরত করেন নারীরা। ঘন কালো ভ্রু-এর বেশ চাহিদা রয়েছে নারীমহলে। তবে ঘন কালো ভ্রু-এর স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। অনেকের জন্মগতভাবেই ঘন হয় ভ্রু আবার অনেকের পাতলা ভ্রু হয়। আর এ কারণে মনের মতো ভ্রু পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কসরত করে থাকেন।
জেনে নিন এমন কিছু ঘরোয়া উপায়, যা মানলেই ঘন ও কালো হবে ভ্রু-
দুধ এবং লেবু : তুলোর ছোট বল দুধে ডুবিয়ে সেটি ভ্রুতে লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এরপর লেবুর রস মালিশ করে আবারও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ক্যাস্টর অয়েল : ভ্রু-এর জন্য ভীষণই উপকারী হল ক্যাস্টর অয়েল। একটি তুলার বলে ক্যাস্টর অয়েল নিন। এরপর তা ভ্রু-তে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আমন্ড অয়েল : শুধু ক্যাস্টর অয়েলই নয়, এর সঙ্গে আমন্ড অয়েল মেশালে আরও ভালো কাজ হবে। একইভাবে তুলার বলে ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ভ্রু-তে লাগান। এরপর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল: নারকেল তেল ভ্রু-তে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস: হয়তো অস্বাভাবিক লাগতেই পারে কিন্তু নিয়মিত পেঁয়াজের রস ভ্রুতে লাগিয়ে দেখুন। পেঁয়াজে থাকা সালফার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি, সি আর অন্যান্য খনিজ ঘন ভ্রু তৈরিতে অবদান রাখতে পারবে।
ভিটামিন ই : ভিটামিন ই-ও ভ্রু-এর গ্রোথ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই তেল বা ক্যাপসুল।
ডিম : ডিমে কেরাটিন নামক একটি উপাদান আছে এবং ডিমের কুসুমে বায়োটিন নামক একটি মূল্যবান উপাদান পাওয়া যাবে। ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করলে দ্রুতই আপনার ভ্রু ঘন হতে শুরু করবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি : শুধু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেই সুফল আশা করা বোকামো। ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখাও জরুরি। পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে আপনার ভ্রু ঘন হয়ে উঠবে।
হরিতকী : ভ্রু ঘন করতে চাইলে ব্যবহার করুন হরিতকী। বেশি কিছু না হরিতকী পেস্ট করে তার নির্যাসটা ভ্রু-তে লাগালেই হবে।
মেহেদি গুঁড়া : এ ছাড়া বাজারে যে মেহেদি পেস্ট পাওয়া যায়, সেটিও দিতে পারেন। তবে এটি একবার ব্যবহার না করে দু-তিনবার ব্যবহার করুন। কেননা এতে ভ্রুতে গাঢ় রং আসবে।
ডায়েট : শুধু রূপচর্চা করলেই হবে না। নজর দিতে হবে ডায়েটের দিকেও। ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড যোগ করুন।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ