আমাদের প্রায় সবারই কিছু দামি পোশাক থাকে যা আমরা তুলে রেখে দেই কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে পরিধান করার জন্য। আবার কোনোটা বড় কোনো অনুষ্ঠান না হলে পরিধান করা হয় না। দেখা যায় দিনের পর দিন ওই পোশাকগুলো আলমারিতে ওঠানো থাকে। তবে অনেকদিন পর বের করলে দেখা যায় ভাঁজে ভাঁজে ফেসে ফেছে বা ফাঙ্গাসের আক্রমণে দাগ পড়েছে। শখের পোশাকের এমন করুণ পরিণতি একেবারেই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এক মাস অন্তর অন্তর এই কাজগুলো করলে আপনার শখের পোশাকটি ভালো থাকবে।
জেনে নিন কী কী করতে হবে-
রোদে মেলে দিন
পোশাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। সিন্থেটিক ফ্যাব্রিকের গায়ে ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাস জন্মায় না। কিন্তু সিল্ক, সুতি বা তসর অনেকদিন নাড়াচাড়া না হয়ে পড়ে থাকলে তার তন্তুর গায়ে জীবাণু জন্মায়। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সিলভার ফিশ লাগে সিল্কের গায়ে, কারণ সিল্কের তন্তুর মধ্যে থাকে প্রাণিজ প্রোটিন। সিলভার ফিশ আবার পোকার প্রিয় খাদ্য। তাই বর্ষা শুরুর আগে ও পরে জামাকাপড় রোদে দেওয়ার পরম্পরা আছে। রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি পোশাক জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।ভাঁজ বদলে দিন
যেকোনোও দামী পোশাকের ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে ভাঁজ বদলে দেওয়া দরকার। কারণ ভাঁজের মাঝে মাঝে ধুলা বাসা বাঁধে এবং সেই বরাবর ফ্যাব্রিক চিড় খেয়ে যায়। তাই সময় সু্যোগ পেলেই পোশাক বের করে ফেলুন আলমারি থেকে। ভাঁজ খুলে ভালো করে ঝেড়ে নিন নরম কোনোও ব্রাশ দিয়ে।ঠান্ডা করে আলমারিতে রাখুন
কাপড় রোদে দিলে তা একেবারে ঠান্ডা করে নিয়ে তারপর আলমারিতে তুলুন। রোদের তাপে গরম হও্য়া পোশাক বা ইস্ত্রি করার পর গরম পোশাক কখনোই আলমারিতে রাখা উচিৎ নয়। এতে কাপড় গরমে জলীয়বাষ্প থেকে পানি জমতে পারে এবং কাপড়ে বসে যেতে পারে। আর এতে দ্রুত ব্যকটেরিয়া জন্মায়।
আলমারিতে জীবানুনাশক দিন আলমারিতে রাখুন জীবাণুনাশক ওষুধপত্র। অনেকে নিমপাতার উপরেও আস্থা রাখেন, সেটাও ট্রাই করে দেখতে পারেন অবশ্য। এ ছাড়াও ন্যাপথলিনের চল রয়েছে আমাদের দেশে। আলমারিতে ন্যাপথলিন দিয়েও রাখতে পারেন।নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ