ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্দিজ্বরে আরাম দেবে যে পানীয়

প্রকাশনার সময়: ২২ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৪

পৃথিবীর বেশি হওয়া রোগগুলোর মধ্যে একটি হলো সর্দিজ্বর। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বছরে ৪ থেকে ৬ বার এবং একটি শিশুর বছরে ১০ থেকে ১২ বার সর্দিজ্বর হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। এই সর্দিজ্বর বা ঠান্ডা লাগার কারণ ভাইরাস সংক্রমণ। ঠান্ডা গরম আবহাওয়ায় খুব দ্রুতই ভাইরাসগুলো আক্রমণ করে। আর আমরাও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হই।

সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। কোনো কাজেই মনোযোগ আসে না। আবার মাথা ব্যাথাও দেখা যায়। অনেক সময় বুকে কফ জমে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে আরাম পেতে ঘরে কিছু পানীয় খাওয়া যেতে পারে। যা তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী আরাম দিতে পারে।

জেনে নিন কী ধরনের পানীয় আপনাকে সর্দিজ্বরে আরাম দিতে পারে-

গরম পানি ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

গলার মিউকাসকে ভাঙতে ও ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আপেল সাইডার ভিনিগার খুবই উপকারী। সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ঈষদুষ্ণ পানিতে দু’চামচ আপেল সাইডার যোগ করে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা লেগে হওয়া অসুখের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে।

গরম পানি/ দুধ ও মধু প্রতিদিন ঘুমানোর আগে মধু খান। কেউ কেউ গরম পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। কাশি কমাতে ও ঠান্ডার প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে মধু খুব কার্যকর। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয় খেলে গলার খুশখুশে ভাব থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যাবে।

আদা চা সর্দি-কাশি ঠেকাতে আদা-চা যে খুব কার্যকর এ কথা কমবেশি সকলেই জানেন। এই চা বানানোর সময় তাতে কিছুটা মধু ও লেবু যোগ করুন। শরীরকে গরম রাখতে ও সর্দি-কাশিকে দূর করতে এটিও বিশেষ উপকারী।

মসলা চা বর্ষায় সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে সবার আগে রাখতে হবে মসলা চা। বর্ষায় মসলা চা আপনাকে শক্তি প্রদানের পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর পুষ্টিও দেবে। চা তৈরিতে বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করুন। যেমন, এঁলাচ, লং, দারচিনি, গোলমরিচ, আদা ইত্যাদি। এতে এই সময় সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করা সহজ হবে।

তেতুল চা ভিটামিন সি সর্দি-কাশি উপশম করতে ভীষণ কার্যকরী। তেতুল খুব ভালো উৎস ভিটামিন সি'র। গরম পানিতে তেতুল আর কাঁচা মরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদের জন্য স্বাদমতো লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।

গরম পানি ও লেবু লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টির জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়। এটি বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে মৌসুমি সমস্যা প্রতিরোধ করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে টক্সিন বের হয়ে যাবে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে প্রদাহও প্রতিরোধ হবে।

আদা পানি আদা হলো সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টির একটি শক্তিশালী উৎস। এতে জিঞ্জেরল নামে একটি যৌগ রয়েছে যা আপনার শরীরে উষ্ণতা যোগ করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে। তাই এ বর্ষায় নিয়মিত আদা মেশানো পানি পান করুন। এতে সুস্থ থাকা অনেকটাই সহজ হবে।

হলুদ দুধ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হলো হলুদ দুধ। হলুদ এবং হালকা গরম দুধ একসঙ্গে মেশানো হলে তা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি দেয়। ফলে আমাদের শরীর আরও শক্তিশালী হয়। এগুলো আমাদের মৌসুমী ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে।

নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ