প্রতিদিন আধা ঘন্টা মোটরসাইকেল চালিয়ে অফিসে যান ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। এরপর কমপক্ষে আট ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় তাকে। চাকরির বয়স ৪ বছর পার হতেই কোমর এবং পিঠের ব্যথা নিত্যসঙ্গী হয়েছে তরুণ এই কর্মকর্তার।
এছাড়াও সাধারণত শিক্ষার্থী, অফিসকর্মী এবং যারা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটাচলা না করে কাজে দীর্ঘ সময় বসে কাটান, তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার কথা প্রায়ই শোনা যায়। এই লোকরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোলন ক্যানসারের মতো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন।
এমনকি ব্যাকপেইন, রক্ত জমাট বাঁধা, হাড়ের ভঙ্গুরতা, হতাশা ও স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কর্মজীবনে পরিবর্তন আনা খুব একটা সহজ নয়। তবে এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু কাজ করতে পারেন_
এক. প্রতি ৩০ মিনিট পরপর কাজে বিরতি দিতে হবে বা উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। অনেকে চেয়ারে দীর্ঘ সময় বসে থাকেন। এমন না করে নিয়মিত বিরতি নিয়ে অফিসের মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
দুই. মোবাইলে কথা বলার সময় উঠে দাঁড়ান। শুধু দাঁড়ালেই বাড়তি ৫০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
তিন. অফিসে ওঠার সময় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট হালকা কাজ তিন মিনিট ভারী কাজ করার সমান। দুপুরে ডেস্কে না খেয়ে খাবার রুমে খাওয়া উচিত। বাইরে হাঁটার ফলে হালকা ব্যায়ামও হবে। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে এবং শরীরের ক্যালরিও দ্রুত ক্ষয় হয়।
চার. দৈনিক তিন ঘণ্টা হালকা হাঁটাচলার (যেমন চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানো) ফলে বছরে আট পাউন্ড চর্বি পোড়ে। ১০ ম্যারাথন দৌড়ে যতটুকু চর্বি পোড়ে তার সমান। এতে কাজের গতিশীলতাও বাড়ে।
পাঁচ. কাজে বিরতি নিয়ে সহকর্মীর ডেস্কে যান। একই অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে ফোন বা মেইলে যোগাযোগের চেয়ে সরাসরি তার রুমে যেতে পারেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ