সপ্তাহে দুই এক দিন ঘরের বাহিরের খাবার খাওয়া হয়না এমন পরিবার খুব কম আছে। বাহিরের খাবার খাওয়ার ফলে হঠাৎ-ই কোনো ইঙ্গিত ছাড়া শুরু হয়ে যায় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। কিন্তু পেট ব্যথার সে অর্থে কোনো সমাধান নেই।
পেটের ভেতর গোলমালগুলো বন্ধ হয়ে গেলে পেট ব্যথা কমে যায়। অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে পেটের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় শরীরে থেকে। তাতে পেটে ব্যথা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। কিন্তু এমন কিছু উপায় যদি পাওয়া যায়, যাতে পেটের যন্ত্রণা থেকে খানিক মুক্তি পাওয়া যাবে, তা হলে আর ক্ষতি কী? তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায়।
আদা
আদা চা খেতে পারেন বমি ভাব আর পেটে ব্যথা কমাতে। শরীরের সব রকম প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে আদা। রান্না করা, কাঁচা বা চায়ে দেওয়া, যেমনভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন আদাক্যামোমিল
বদহজম, বমি ভাব, ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা-একগুচ্ছ অসুখে দারুণ কাজে দেয় ক্যামোমিল। ক্যামোমিল ভেষজের গুণ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা এখনো পর্যন্ত না হলেও এর নানা রকম উপকারিতার কথা অনেকেই মানেন। তাই পেট ব্যথায় ক্যামোমিল চায়ের ওপর ভরসা করতেই পারেন।
পিপারমেন্ট
আরেক ভেষজ চা পিপারমেন্টও দারুণ কাজে দেয় পেটে ব্যথার সময়ে। যাদের ইরিটেবিল বাওয়েল সিন্ড্রোম রয়েছে, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, বদহজম ও পেট ব্যথার মতো নানা উপসর্গ লেগেই থাকে। সেগুলো কমাতে সাহায্য করে পিপারমেন্ট।
কাঁচকলা
কাঁচকলা সিদ্ধ করে খেলে তা পেটে ব্যথা এবং পেটের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। শরীরে কোনো পেশিতে টান লাগলে, ব্যথা হলে বা ক্র্যাম্প হলে তা কমাতে সাহায্য করে এটি।
দই শরীরে ডিসবায়োসিস হলে, মানে পেটের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যে গন্ডগোল হলেও পেট ব্যথা হতে পারে। তাই দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক খেলে তা এই ভারসাম্য বজায় রেখে পেটে ব্যথা কম করতে পারে। এই কারণেই পেটের সমস্যা হলে দই ভাত বা দই চিরের মতো খাবার খেতে বলেন অনেকেই।
সূত্র : আনন্দবাজার
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ