গ্রামের মেঠোপথের ধারে দেখা মিলবে সবুজ পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চিকন কচুর ডগা। এই কচু দিয়ে শাক রান্না করা যায় আবার মাছ দিয়েও রান্না করা যায়। রসনা বিলাসীদের পাতেও এই কচুর তুলনা সীমাহীন।
তবে যারা কচু খেতে ভালোবাসেন কিংবা পাতে রাখতে পছন্দ করেন বিভিন্ন পদের তরকারি তাদের জন্য বাধা হতে পারে কচু। আর সেই বাধা হলো কচু খেলেই গলা চুলকায়। যে কারণে অনেকে গরম ভাতের পাত থেকে কচুকে সরিয়ে রাখেন।
তবে গলা চুলকানোর সমস্যা সরানোর উপায় আছে দুটি। এক পলকে জেনেন কোন সে উপায় প্রয়োগ করলে শখের কচুতে চুলকাবে না আপনার গলা।
তাপে গলে কচুর অক্সালেট ও র্যাফাইড:
কচুর লতিতে অক্সালেট ও র্যাফাইড থাকার কারণে গলায় চুলকানোর সমস্যা শুরু হয়। রান্নার করা সময় আগুনের তাপে কচুর এই উপাদান গলতে শুরু করে। তাই কচু রান্না করা সময় চেষ্টা করুন অতিমাত্রার তাপে কচু রান্না করতে তাহলে গলা চুলকানোর সুযোগ খুবই কম থাকবে।
লেবু ও তেঁতুলের রস মিশিয়ে নিন:
কচুর লতি বা কচুর তরকারিতে মিশিয়ে নিন লেবুর রস কিংবা তেঁতুলের রস। এই দুই উপায়ে গলা চুলকানোর সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যের উপকারী কচু:
কচুতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আর ভিটামিন বি রয়েছে। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের পুষ্টিতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও এ কচুর জুড়ি মেলা ভার।
কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা নিয়মিত খেতে পারেন কচু তরকারি। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আয়রনের ঘাটতি দূর করতেও এ খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
গলা চুলকানোর ভয়ে যারা কচু খেতে চান না, তারা দুই উপায়ে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এ ছাড়া আপনি জানলে অবাক হবেন, অতিমাত্রায় কচু রান্না করলে শুধু গলা চুলকানোর সমস্যাই নষ্ট হয় না, এর কারণে কিডনিতে পাথর জমার সুযোগ কমে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কচুর র্যাফাইড অতিতাপে রান্নার মাধ্যমে গলানো না হলে তা রক্তে মিশে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পায়, যা পরবর্তী সময়ে কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র: নিউজ ১৮ বাংলা
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ