বর্ষায় অনেকেরই মাথার ত্বক তৈলাক্ত হওয়া, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তৈলাক্ততার কারণে মাথায় ময়লা জমে বেশি। ফলে বার বার চুল ধুয়েও উপকার হয় না।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় অ্যারোমাথেরাপিস্ট ডা. ব্লসম কোচার বলেন, “প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈলাক্ত মাথার সমস্যা সমাধান করা যায়।”
তার মতে নিয়মিত এসব পন্থা অবলম্বন করলে মাথার তৈলাক্তভাব অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
• নারিকেলের দুধ চুল সুস্থ রাখার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়। তাজা নারিকেলের দুধের সঙ্গে লেবুর রস ও চার থেকে পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশল তেল মিশিয়ে মাথার ব্যবহার করে, চার পাঁচ ঘন্টা পরে ধুয়ে নিতে হবে।
• তৈলাক্ত মাথার ত্বকের চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এমন একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। শুষ্ক চুলের মতো তৈলাক্ত চুলেও কন্ডিশনার ব্যবহারের প্রয়োজন। এই ধরনের চুলে মাস্ক ব্যবহার না করে হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
• তৈলাক্ত মাথার ত্বকের খুশকি দূর করতে সারা রাত দুই চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন মেথি বেটে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করে আধা ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল পরিষ্কার করতে রিঠা বা শিকাকাইয়ের পানি অথবা ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
• এক টেবিল-চামচ পানির সঙ্গে ১০ ফোঁটা পাচৌলি এসেনশল তেল মিশিয়ে নিন। আঙ্গুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণ মেখে সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
• মাথায় তেল চিটচিটেভাব ছাড়া চকচকে ভাব আনতে শ্যাম্পু করার পরে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে। এক মগ পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সাইডার মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলে চকচকে ভাব আসবে।
• যখন তখন চুলে হাত বোলানো বা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো বন্ধ করতে হবে। এতে মাথার ত্বকের সিবাম নিঃসরণ বাড়ে এবং তেল চিটচিটেভাব সৃষ্টি হয়। তবে চুলের জট ছাড়াতে ও প্রাকৃতিক বাতাস চলাচলের জন্য সাধারণভাবে আঁচড়ানো বা চুলে হাত বোলানো যাবে।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ