শরীরের অধিকাংশ সমস্যার সূত্রপাত খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম থেকে। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার খাওয়ার প্রতি ভালোবাসা শরীরের সমস্যা ডেকে আনে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের ভালোমন্দ নির্ভর করে শুধু কী খাচ্ছেন তার ওপর নয়। কখন খাচ্ছেন সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকাল, দুপুর এবং রাত— নির্দিষ্ট সময়ে খাবার না খেলে হতে পারে সমস্যা। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রাতে সময় মতো খাবার খেয়ে নেওয়াটা জরুরি। কিন্তু অফিস থেকে ফিরে রাতের খাবার খেতে অনেকেরই দেরি হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ দু’তরফেরই মত, রাত ৮ টার আগে খাবার খেয়ে নিলে সবচেয়ে ভালো। এই অভ্যাসের কিছু স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে।
ওজন কমে
বেশি রাতে খেলে খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। বদহজমের কারণে পেট ফুলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খাওয়াদাওয়া ৮টার মধ্যে সারলে শরীর ক্যালোরি খরচ করার অনেক বেশি সময় পায়। ফলে হজম ভালো হয়। আর হজমক্ষমতা বাড়লেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, পিসিওডি এবং হৃদ্রোগে ভুগছেন, এমন রোগীদের রাতে হালকা খাওয়ার পাশাপাশি তাড়াতাড়ি খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। রাতে সোডিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খেতে বারণ করা হয়। ডাল, পাপড়, শাকসবজি থেকে শুরু করে মাংস সব রান্নাতেই নুন ব্যবহার করা হয়। নুন শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে তা জল ধরে রাখে। ফলে পেট ফুলে শরীরে অস্বস্তি হয়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ে। হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
শরীরের টক্সিন দূর হয়
বেশি রাত করে খেলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে। এর ফলাফল হিসেবে পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরে মেদ বেড়ে যাওয়ার মতো অসংখ্য সমস্যা হানা দেয়। তাই চেহারা ঠিক রাখতেও রাত করে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আনন্দবাাজার।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ