ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮শ এর মত মানুষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সকালে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে এক মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
টুইটারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেনরি জানান, এ ভূমিকম্পে বিভিন্ন প্রদেশে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও মানবিক সংকটের কারণে ইতোমধ্যেই জর্জরিত ক্যারিবীয় অঞ্চলের দরিদ্র এ দেশটি। এই ভূমিকম্প দেশটিকে আরেকটি শোচনীয় ঘটনার মুখোমুখি দাঁড় করাল।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির পেটিট ট্রু দে নিপ্পস শহর থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ৮ কিলোমিটার দূরে ছিল। এছাড়া রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) থেকে জানানো হয়, এই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এই ভূমিকম্পে বহু হতাহত ও ব্যাপক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউএসজিএস। হাইতির জনসুরক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান জেরি চান্ডার জানান, আমি নিশ্চিত হয়েছি বহু মানুষ মারা গেছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
এর ১১ বছর আগে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ মানুষ ওই ভূমিকম্পে আহত হয়। ২০১০ সালের ওই ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ