ভারতের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে কোনো তৃতীয় বিকল্প বা ফ্রন্ট নয়, বরং নির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি জোট চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্র জাগো বাংলার শনিবারের সম্পাদকীয় নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজেপিবিরোধী জোট গঠনে তৃণমূলের সদিচ্ছার প্রশ্নে, সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাফ কথা, ‘আমরা দেশের স্বার্থে অ-বিজেপি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ঐক্যের পক্ষে। আমরা ঐক্য চাই বলেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছেন। সংসদের ভিতরে বাইরে আমাদের বিজেপিবিরোধী ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত।’
‘আমরা কখনোই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোটের কথা বলছি না। বরং কোনো তৃতীয় বিকল্প নয়, এবার সরাসরি বিকল্প জোট বিরোধীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
জোট শরিকদের গুরুত্বের বিষয়ে, ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘দিল্লিতে দু-একটি বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা চলছে। সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য জোড়া প্রশ্ন ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে । কিন্তু আমরা চাই, একটা নীতি বা পদ্ধতিতে ঐক্য হোক।’
‘আজ হঠাৎ মনে হল, একটা ফোনে বলে দিলাম, আমরা মিছিল করছি চলে আসুন। এটা তৃণমূলের ক্ষেত্রে চলবে না।’
অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষে ওই নিবন্ধে পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে, বিজেপি বিরোধী জোটের শরিককে যথেষ্ট গুরুত্ব ও সম্মান দিতে হবে।
‘মনে রাখুন, এবার বিধানসভা ভোটে নেত্রীর নেতৃত্বে আমরা একাই বিজেপিকে হারিয়েছি। কংগ্রেস-বাম জোট করে আলাদা লড়েছিল। শূন্য পেয়েছে। তৃণমূল একাই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। আমাদের জোট লাগেনি। তবে দেশের স্বার্থে আমরা বিরোধী ঐক্য চাই।’
দেশে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই সম্পাদকীয় নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেস তার দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলে, বিজেপি এত সাংসদ নিয়ে সরকার গড়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কেন কংগ্রেস উপযুক্ত লড়াই দিতে পারিনি বা জোট রসায়নের ফাঁকফোকর ভরাট করতে কী কী করা প্রয়োজন সেগুলো চিহ্নিত করা দরকার।’
‘সময়ের সঙ্গে জোট কারিগরি প্রযুক্তি না বদলালে ভিত মজবুত হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস জমাটবাঁধা ঐক্যের পক্ষে। আমরা বিরোধী ঐক্য চাই। দুই-একটি কর্মসূচিতে থাকা-না-থাকা দিয়ে উপসংহার টানা ঠিক নয়।’
জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে তাৎপর্যপূর্ণভাবে লেখা হয়েছে, ‘জোটের নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূল ভাবছে না। বিজেপির জনবিরোধী নীতিগুলির অবসান ঘটানোই অগ্রাধিকার।’
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ