ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাধীনতা হারিয়ে আফগানদের আর্তনাদ

প্রকাশনার সময়: ১৫ আগস্ট ২০২১, ০২:৩০

নূরিয়া হায়া একজন আফগান দাই। কাজ করেন সরকারি একটি ক্লিনিকে। কাজের অংশ হিসেবে তিনি পুরুষ চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেন। স্থানীয় লোকজনের চিকিৎসার ব্যাপারেও একসঙ্গে বসে তারা আলোচনা করেন।

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব দিকে তাজিকিস্তান সীমান্তের সঙ্গে তাখার প্রদেশের ইশকামিশ নামের একটি গ্রামীণ এলাকায় কাজ করেন ২৯ বছর বয়সী নূরিয়া হায়া।

কিন্তু সম্প্রতি তার কাজের ধরন অনেকখানিই বদলে গেছে। কারণ সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নারী ও পুরুষ কর্মীদের বৈঠক। তিনি বলছেন, তালেবান বাহিনী এই অঞ্চল দখল করে নেওয়ার পর তাদেরকে এই নির্দেশটিই দেওয়া হয়েছে সবার আগে।

হিন্দুকুশ মাউন্টেন রেঞ্জে অবস্থিত এই ইশকামিশ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা। কয়েক মাস আগেও এখানে মোতায়েন ছিল ন্যাটোর ১০ হাজারের মতো সৈন্য।

ভয়ের মধ্যে বসবাস

মে মাসের শুরুর দিকে সেখান থেকে বিদেশি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই তালেবান ইশকামিশ দখল করে নেওয়ার ব্যাপারে সাহসী হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে এলাকাটি দখল করে নেয়।

হেলমান্দ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ সময় আফগান সরকারি বাহিনী অনেকটাই অপ্রস্তুত ছিল। মে মাসের মাঝামাঝি গিয়ে তালেবানের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় তীব্র লড়াই। সরকারি সৈন্যদের হটিয়ে তালেবান যোদ্ধারা এর পর দখল করে নেয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বুরকা এলাকা।

প্রায় একই সময়ে কান্দাহারের বিমান ঘাঁটি ছেড়ে চলে যায় মার্কিন সৈন্যরা। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার। এই শহরের বাসিন্দারা তালেবানের অগ্রগতির বিষয়ে বেশ ভালোভাবেই অবহিত ছিলেন।

কান্দাহার শহর থেকে গাড়িতে দু’ঘণ্টা দূরে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আরঘিস্তান জেলার বাসিন্দা জান আগা (৫৪) বলেছেন, প্রত্যেকটি মানুষ ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। লোকজন ঘরের বাইরে বের হতো না। তারা নিজেদেরকে একরকম ঘরেই বন্দী করে রেখেছিল। কিন্তু তালেবান প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে অবস্থান নেয়। তাদের হাত থেকে কারও পালানোরও উপায় ছিল না।

বাড়িতে বাড়িতে তালেবানের হানা

তালেবানের সশস্ত্র যোদ্ধারা রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরজায় টোকা দেয় সকাল সন্ধ্যা। উদ্দেশ্য খাদ্য সংগ্রহ করা। খারাপ পরিণতির কথা চিন্তা করে সবাই তাদের হাতে খাবার তুলে দেয়।

‘প্রত্যেক বাড়িতেই এখন তাদের জন্য তিন/চারটি রুটি বা অন্যান্য খাবার রাখা হয়’- বলেন ফল বিক্রেতা জান আগা। তিনি বলেন, যতো গরিবই হোক না কেন সবাইকে এই খাবার দিতে হয় তালেবানের যোদ্ধাদের। এমনকি যোদ্ধারা এসব লোকজনের বাড়িতে থাকতে চাইলে তাদেরকে সেই অনুমতিও দিতে হয়।

পুরো জুন মাস জুড়ে তালেবান বাহিনী উত্তরের আরও কয়েকটি প্রদেশ দখল করে নেয়ার দাবি করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে তাখার, ফারিয়াব এবং বাদাখশান।

এসব প্রদেশ থেকে সরকারি বাহিনীর সৈন্যদের পিছু হটে যেতে বাধ্য করে তালেবান। এর মধ্যে আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্যের বেশিরভাগই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায়, যদিও কিছু সংখ্যক সৈন্য এখনও রাজধানী কাবুলে রয়ে গেছে।

এতো তড়িঘড়ি করে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার সমালোচনা করেছে আফগান জনগণ। অনেকে মনে করেন গত দু’বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের আলোচনার কারণে তালেবানের বৈধতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি এই বাহিনীর আকাঙ্ক্ষা আরও জোরালো হয়েছে এবং তারা আরও বেশি সংখ্যক যোদ্ধাও সংগ্রহ করতে পেরেছে।

জুন মাসে তালেবান যতই তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে থাকে, ততই বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘটনা শুরু হতে থাকে। গত ২০ বছর ধরে এসব অধিকারের জন্যই যুদ্ধ চলছিল আফগানিস্তানে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত কিছু সাফল্যও এসেছিল।

ফিরছে বিধি-নিষেধ

নারীর ওপর নানা ধরনের বিধি-নিষেধ এই প্রথমবারের মতো নেমে এলো আফগান দাই নূরিয়া হায়ার জীবনেও। তিনি বলেন, অনেক বিধি-নিষেধ। বাড়ির বাইরে গেলে আমাকে বুরকা পরতে হয়। তালেবান আমাদেরকে এটা পরার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও এসময় আমাদের সাথে একজন পুরুষও থাকতে হয়।

এর ফলে একজন দাই হিসেবে পুরো এলাকায় চলাচল করাও তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। পুরুষের দাড়ি কামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তালেবান বলছে এটা ইসলামবিরোধী। বিদেশিদের মতো করে মাথার পেছনে ও দু’পাশে ছোট করে চুল কাটার স্টাইলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তালেবানের ভেতরে ‘আমরি বিল মারুফ’ নামের একটি গ্রুপ বিভিন্ন সামাজিক নিয়ম বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। এই নামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘আল্লাহর নির্দেশ।’ ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানে যেসব ভয়াবহ ধরনের শাস্তি দিতে হতো এই গ্রুপটি সেই ভীতিকর পরিস্থিতি ফিরিয়ে এনেছে।

এই গ্রুপটি এখন আবার দুই স্তরের শাস্তির প্রচলন শুরু করেছে। প্রথমে সতর্ক করে দেওয়া এবং তারপরে শাস্তি। এসব শাস্তির মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে অবমাননা, কারাদণ্ড, প্রহার, বেত্রাঘাত, চাবুক মারা ইত্যাদি।

নূরিয়া হায়া বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমাদের বেশিরভাগ স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা খুব কঠিন। কিন্তু আমাদের তো আর কোনো বিকল্প নেই। তারা নিষ্ঠুর। তারা যা বলবে সেটাই আমাদের করতে হবে। তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা ইসলামকে ব্যবহার করছে। আমরাও তো মুসলিম। কিন্তু তাদের বিশ্বাস ভিন্ন।’

এসবের পাশাপাশি অপরাধ-জনিত ব্যাপারে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় লোকজন এই পরিবর্তনের ব্যাপারে খুশি, যদিও তারা এই অবস্থা কতদিন স্থায়ী হবে সেবিষয়ে নিশ্চিত নন।

বন্ধ উপার্জন

আরও অনেক জিনিসও বন্ধ হয়ে গেছে। আফগানরা তাখার প্রদেশে বেড়াতে আসতেন। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে তাখার খুব বিখ্যাত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে। পাহাড়ি নির্মল বাতাস, তুষারে আবৃত পর্বতমালা, বিস্তৃত শ্যামলিমা, সবুজ গাছপালা এবং বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ পানির নদী দেখতে অনেকেই বেড়াতে আসতেন এই প্রদেশে।

ফারখার জেলার ট্যাক্সি চালক আসিফ আহাদি বলেন, গাড়ি চালিয়ে তিনি একদিনে ৯০০ আফগানি (মার্কিন ১১ ডলার) আয় করতেন। কিন্তু তালেবানের অগ্রযাত্রার কারণে পর্যটকদের বেড়াতে আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‌‘এই পর্যটকরা ছিলেন আমার খদ্দের। তাদের কাছ থেকে যে অর্থ পেতাম সেটা দিয়ে পরিবারের জন্য খাবার কিনতাম। এখন সর্বোচ্চ আয় করলেও একদিনে আমি ১৫০ আফগানি রোজগার করতে পারি। এই অর্থ দিয়ে গাড়ির তেলের খরচও ওঠে না। তেলের দাম বেড়ে এখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’

সামাজিক জীবনেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আসিফ বলেন, লোকজন আগে প্রত্যেক শুক্রবার রাতে পার্টি করতো। গান বাজনা নাচ হতো। মজা করতো। এখন তো এসব কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য

সব ব্যবসা বাণিজ্যেই একই ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আফগানিস্তানের বৃহত্তম বিমানঘাঁটি বাগরাম থেকে মার্কিন ও ন্যাটোর সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার দু’দিন পর গত ৪ জুলাই তালেবান বাহিনী কান্দাহার প্রদেশের পাঞ্জোয়া জেলা দখল করে নেয়। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বাহিনীর অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাগরাম বিমানঘাঁটি।

এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ইরানের সাথে দেশটির সবচেয়ে বড় সীমান্ত চৌকি ও বাণিজ্য পথে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। দখল করে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর- ইসলাম কালা।

মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে তালেবান বাহিনী দাবি করে যে তারা আফগানিস্তান সীমান্তের ৯০ শতাংশ এবং দেশের ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই দাবির ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে আফগান সরকার। তবে কোন পক্ষের দাবি সঠিক সেটি যাচাই করা খুব কঠিন।

তালেবান যতোই তাদের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করতে থাকে, ঘরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা লোকজন ততই বাইরে বের হয়ে আসতে শুরু করে, বলেন ট্যাক্সি চালক আসিফ।

তালেবান যতো দ্রুত কোনো একটি ঘটনার বিচার করে এবং যে প্রক্রিয়ায় সবকিছু পরিচালনা করে অনেকেই সেসব আগে কখনো দেখেনি।

তিনি বলেন, অপরাধের মতো কোনো বিষয়ে তারা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে কোনো আমলাতন্ত্র নেই। লাল ফিতা নেই। মাত্র কয়েক দিনেই সব ধরনের সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এবং কেউ কোনো সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না।

যাকাতের অর্থও সংগ্রহ করছে তালেবানের যোদ্ধারা। দরিদ্র মানুষের জন্য লোকেরা তাদের সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ যাকাত হিসেবে দান করে থাকে। কিন্তু তালেবান এই অর্থকে কর হিসেবে দেখিয়ে তাদের নিজেদের জন্য ব্যবহার করছে।

আসিফ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এটাও একটা আর্থিক চাপ। সব জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বাইরের ও ভেতরের সব ধরনের বাণিজ্যই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংকুচিত হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। সরকারি কাজও বন্ধ হয়ে গেছে।

‘লোকজন ইতোমধ্যেই গরিব হয়ে পড়েছে। তাদের কাজের কোনো সুযোগ নেই। নেই কোনো বিনিয়োগও। তবে কেউ কেউ আছেন যারা আগে তালেবানকে দেশ পরিচালনা করতে দেখেছেন। তাদের আদর্শ এবং চিন্তা ভাবনা ঠিক আগের মতোই আছে, যেসময় তারা ক্ষমতায় ছিল। কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’

তিনি জানান, তালেবান তার এলাকায় সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের কথা হলো- কঠোর ইসলামিক শরিয়া আইনের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা অনুসারে শিক্ষা দিতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের অনেকেই উদ্বিগ্ন।

তালেবান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন থাকার সময় নারীদের শিক্ষা ও কাজ নিষিদ্ধ করেছিল। এমনকি তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবাও সীমিত করে দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে নারীরা আবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ সদস্যও নারী।

প্রাথমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছায়। তবে মাধ্যমিক স্কুলে এই সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ শতাংশ। নারীর গড় আয়ু ৫৭ থেকে বেড়ে হয় ৬৬ বছর।

অন্যান্য দেশের তুলনায় এসব সংখ্যা খুব বেশি না হলেও গত দুই দশকে দেশটিতে কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এখন এসব আবার পেছনের দিকে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তালেবানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত

তালেবানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আগস্টে তারা বেশ কিছু বড় বড় শহরের কেন্দ্রে আক্রমণ করেছে। আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর অর্ধেক এখন তাদের দখলে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরের কুন্দুজ এবং তাখার প্রদেশের তালোকান।

চলতি সপ্তাহে তারা দখল করে নিয়েছে পশ্চিমের হেরাত, দক্ষিণের কান্দাহার এবং লশকর গাহ। কৌশলগত দিক ছাড়াও প্রতীকীভাবেও এসব শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে দশ লাখেরও বেশি মানুষের বাস।

মার্কিন বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় আফগান সামরিক বাহিনী তালেবানের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে যেসব বিদেশি সৈন্য রয়ে গেছে, ৩১ আগস্টের মধ্যে তারাও চলে যাবে।

কুড়ি বছর আগে এই দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা করেছিল আল-কায়েদা। এর পরই শুরু হয় আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান যাতে তালেবান সরকারের পতন ঘটে। এই তালেবান ওসামা বিন লাদেনসহ আল-কায়দার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল।

দীর্ঘ দিনের এই যুদ্ধে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাড়ি ঘর থেকে পালিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দেশটির নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে যেসব জায়গায় এখন তালেবান শাসন করছে, সেসব স্থানে পরিবর্তন স্পষ্ট।

‘বেঁচে থাকতে হলে তাদের সামনে আপনার মাথা নত করেই থাকতে হবে। তাদের বিরোধিতা করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। তারা যদি হ্যাঁ বলে আপনাকেও হ্যাঁ বলতে হবে। তারা যদি না বলে, আপনাকে অবশ্যই না বলতে হবে’- বলেন জান।

দাই নূরিয়া বলেন, এ রকম ভয়ের মধ্যেই বসবাস করতে হচ্ছে। মনে হতে পারে যে লোকজন হয়তো ততোটা উদ্বিগ্ন নয়। কিন্তু আপনি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আপনি বুঝতে পারবেন তারা কতোটা উদ্বিগ্ন। আমরা একসঙ্গে বসে দোয়া করি আল্লাহ যেন তালেবানকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। বিবিসি বাংলা।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ