ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্বকাপের কাঠামো নির্মাণে ৪শ-৫শ শ্রমিকের মৃত্যুর স্বীকার কাতারের

প্রকাশনার সময়: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ২১:৫০

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য স্টেডিয়ামসহ অবকাঠামো নির্মাণে ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেন বিশ্বের অন্যতম বড় এ ক্রীড়া আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি। সিএনএন মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, এর আগে কাতারের সরকারি কর্মকর্তারা প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর যে হিসাব জানিয়েছিলেন, এই সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর ওই সংখ্যা বলেন আল-থাওয়াদি। সোমবার (২৮ নভেম্বর) টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়।

এর আগে নভেম্বরে সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন। বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে কাতারে কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সেখানে কাজ করছেন।

গত ২০ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনও স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্টলে কাজ করতে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা সারাদিন কড়া রোদে অপেক্ষায় ছিলেন খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ ছাড়াই।

সেদিন নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০ জনের বেশি শ্রমিককে উদ্বোধনী ম্যাচের সময় বিভিন্ন স্টলে কাজ কারনোর জন্য ভাড়া করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে সকাল থেকে তারা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন এবং জানতেন না কি ধরনের কাজ করতে হবে। এই অপেক্ষায় থাকার সময় তারা কোনো খাবার ও পানি পাননি; শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগও তাদের ছিল না।

কাতারসহ পার‌স্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে যে তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।

অবশ্য কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কিছু বলেনি। সুপ্রিম কমিটির এক প্রতিবেদনে ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কার কাজে মৃত শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে মৃত শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র ৪০ জন বলে দাবি করা হয়। এর মধ্যে ৩৭ জন মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকের মতো কাজ সংশ্লিষ্ট না এমন কারণে হয়েছে বলা হয়। আর মাত্র তিনজন কর্মস্থলের ঘটনায় মারা যান। আরেক পৃথক প্রতিবেদনে এক শ্রমিকের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ