মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে এসে জীবনের প্রথম হিজাব পরার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অনেক নারী দর্শক। আরব মুসলিম সংস্কৃতির অনুসরণে হিজাব পরছেন তারা। ভক্তদের হিজাব পরায় সহযোগিতা করছেন মুসলিম ভলান্টিয়াররা। ইনস্টাগ্রামে ভেসে বেড়াচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের হিজাব পরার সেসব ছবি।
আলজাজিরা মুবাশির জানায়, কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে ইসলামের পরিচিতি ও মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে হিজাব পরার অভিজ্ঞতা হয় বিশ্বকাপ দেখতে আসা অনেক নারী ভক্তের। জীবনের প্রথম হিজাব পরার অভিজ্ঞতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
নারীদের কাছে হিজাবকে পরিচিত করার উদ্যোগে দায়িত্ব পালন করছেন তাসনিম নাফে। তিনি আলজাজিরা মুবাশিরকে জানান, ‘সব সংস্কৃতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে অনেক নারী হিজাব পরার অভিজ্ঞতা হয়। তাদের অনেকে এবারই প্রথম হিজাব পরেছেন। ’ প্রথম দিকে এ উদ্যোগে অংশ নেওয়া নারীর সংখ্যা খুবই কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানান তিনি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটবল আয়োজনের স্বেচ্ছাসেবীরা নারী দর্শকদের হিজাব পরিয়ে আনন্দ দিচ্ছেন। বিশেষ করে যারা বিশ্বকাপের খেলা দেখতে প্রথমবার কাতারে গেছেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, একজন স্বেচ্ছাসেবক এক নারী দর্শককে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি হিজাব পরতে চান?
ব্রাজিলের জার্সি পরিহিত ওই নারী বলেন, ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই। এরপর হিজাব পরে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
আরব ও ইসলামি সংস্কৃতি প্রচারের অংশ হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন বইপত্র ও ঐতিহ্যবাহী কাহওয়া। তা ছাড়া ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম’ নামে ছয় ভাষায় একটি ই-বুক এবং আরবি ভাষা শিখতে ‘দ্য কুইক স্টার্ট গাইড টু স্পোকেন অ্যারাবিক’ নামে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় আরেকটি ই-বুক প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, স্টেশন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে এসব ই-বুকের কিউআর কোড। দোহার বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে আরবি ও ইংরেজিতে মহানবী (সা.)-এর হাদিসসংবলিত দেয়ালচিত্র।
ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো উদ্বোধনী পর্বে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত পাঠ করা হয়। মার্কিন অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান ও কাতারের তরুণ ঘানিম আল-মিফতাহের সংলাপে দেওয়া হয় ইসলামের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা। ফুটবল অনুরাগীদের কাছে ইসলামের পরিচিতি ও মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ