আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে দ্রতই আফগান পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তালেবানের আক্রমণে ইতিমধ্যেই দেশটির ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে ১৮ টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে। আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশের রাজধানী কালাত তালেবানদের দখলে আনা ১৮তম শহর।
এর মধ্যে শনিবার (১৪ আগস্ট) দেশটির উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার-ই-শরিফে তালেবান বহুমুখী আক্রমণ শুরু করেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাদে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তালেবান দেশের রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের লগার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই আলম দখলে নিয়েছে।
তবে বিবিসি জানিয়েছে কাবুল থেকে তালেবান মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলের পতন হতে পারে।
কাবুলের পতনের সম্ভাবনা এখন এত দ্রুত সামনে চলে এসেছে যে সেখান থেকে মার্কিন কূটনৈতিক ও নাগরিকদের নিরাপদে তুলে নিয়ে যাবার জন্য তিন হাজার সৈন্য ‘সাময়িকভাবে’ নতুন করে আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুধু তাই নয়, মার্কিন পত্রপত্রিকায় খবর বলছে, দূতাবাসটি বিমানবন্দরের মধ্যে বা কাছে কোথাও সরিয়ে নেয়া যায় কিনা, সে বিকল্পটিও আলোচনা করেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তালেবান যেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হামলা না চালায় সে জন্য মার্কিন আলোচকরা এর মধ্যেই তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
যদিও ইতিমধ্যেই মার্কিন দূতাবাস কর্মীদেরকে স্পর্শকাতর তথ্য, দলিল-দস্তাবেজ ও কম্পিউটার ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন সরকার চাইছে, শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কিছু কূটনীতিক কাবুলে অবস্থান করবেন।
মার্কিন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভিয়েতনামের সায়গন থেকে আমেরিকানদেরকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ২০২১ সালের কাবুলে এখন সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে কিনা, সেটাই অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ