ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনবে ব্র্যাক

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২১, ১৮:২৭

আফগানিস্তানে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে ব্র্যাক। বেসরকারি সংস্থাটি গত উনিশ বছর ধরে আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মূলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত সহায়তা, মানবিক সহায়তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে সেখানে কাজ করে সংস্থাটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সংস্থাটির ৩০০০ কর্মীর মধ্যে ১৪ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছে। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। ব্র্যাক সেখানে অবস্থানরত সব বিদেশি কর্মীদেরই শুক্রবার (১৩ আগস্ট) থেকে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আর যারা আফগানিস্তানের বাইরে ছুটি কাটাচ্ছিলেন, তাদের আপাতত কর্মস্থলে ফিরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে কর্মরত কর্মীদের ঝুঁকি নিরসন করে তাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্র্যাক।’

তবে ব্র্যাকের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম চলবে। সেখানকার স্থানীয় কর্মীরাই চলমান প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখবেন।

এমন সময়ে ব্র্যাকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের কূটনীতিবিদ ও নাগরিকদের বের করে আনার জন্য কাবুলে সৈন্য পাঠিয়েছে।

তালেবান এখন আফগানিস্তানের দশটি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ করছে। তালেবান দেশটির যত বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকরা দেশটি ছাড়তে শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানের স্থানীয় খবরাখবরের বরাতে জানা যাচ্ছে, কানাডাও দেশটি থেকে তাদের নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য সৈন্য পাঠাবে বলে মন্তব্য করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কাবুলে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। পাশের দেশ উজবেকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ইস্যুগুলো দেখভাল করা হয়।

আফগানিস্তানের দশটি প্রাদেশিক রাজধানী ইতোমধ্যেই তালেবানের দখলে চলে গেছে - তার সাথে যোগ হয়েছে হেরাত ও কান্দাহারের মত গুরুত্বপূর্ণ শহর।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলের পতন হতে পারে। সূত্র: বিবিসি।

নয়া শতাব্দী/জেআই/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ