পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগের কয়েকদিন না যেতেই ঘিজার জেলার আরেকটি বালিকা বিদ্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামারের একটি গার্লসস্কুলে অগ্নিসংযোগের এক সপ্তাহ পরই এ ঘটনা ঘটল। দিয়ামারের সামিগাল পেইনের জনসংখ্যা প্রায় ৭ হাজার এবং সেখানকার মেয়েদের জন্য একটি মাত্র স্কুল ছিল। স্কুলটিতে ৬৮ জন মেয়ে পড়ত, আর সেটিই পুড়ে ফেলা হয়েছে। যদিও স্কুলটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়নি, তবে স্কুলটির দরজা পুড়ে যাওয়াসহ বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গন্ডা-ই-ইয়াসিন এলাকার ওই স্কুলটিতে আগুন দেওয়া ছাড়াও স্কুলের দেয়ালে আতঙ্ক ছড়ানোর মতো একটি বার্তা লিখে দিয়েছে কে বা কারা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো এফআইআর দায়ের করা হয়নি। পুলিশ একে জঘন্য ও সন্ত্রাসী কাজ বলে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) দিয়ামে মেয়েদের স্কুলে আগুনের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছে।
দ্য ডন বলছে, স্থানীয় কর্মকর্তারা এই জঘন্য কাজের জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষায় গিলগিট বালতিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরসিপি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ