পৃথিবী থেকে ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস নির্মূল করা অসম্ভব নয়। বিশেষ করে গুটিবসন্তের মতো চিরতরে না হলেও পোলিও রোগের মতো করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তিনটি রোগেরই কারিগরি, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন গবেষণায় মিলেছে এ তথ্য।
স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন সাময়িকী বিএমজে গ্লোবাল হেলথে প্রকাশ করা হয়েছে মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি।
সাইটেক ডেইলির প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনা নির্মূলে কিংবা এর বিস্তার ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে গণটিকাদান, জনস্বাস্থ্যমূলক পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।
করোনা নির্মূলের পথে প্রধান বাধা টিকার অপর্যাপ্ততা বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনা মহামারি পরিস্থিতিকে দিন দিন আরো জটিল করে তুলছে। এ অবস্থায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুততম সময়ে টিকাদান কার্যক্রমের পরিসর বৃদ্ধি ও তা সচল রাখার বিকল্প নেই।
গবেষকরা বলেন, বিদ্যমান টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেয়ার মতো নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচুর পরিমাণে এবং অব্যাহত টিকা সরবরাহ থাকতে হবে। এটা সম্ভব হলে স্থায়ীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে গুটিবসন্ত ও পোলিও ভাইরাসের টিকার কথা তুলে ধরেছেন গবেষকরা।
১৯৮০ সালে পৃথিবী গুটিবসন্তমুক্ত বলে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর পোলিও দমন করা সম্ভব হয়েছে ৯৯ শতাংশের বেশি। মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ভাইরাসের টিকা কার্যক্রমও এখন ব্যাপক বিঘ্নিত।
এ অবস্থায় পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নও নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন গবেষকরা। তারা টিকা নিয়ে জাতীয়তাবাদী মনোভাব বর্জন এবং প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ