ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
জাতিসংঘের প্রতিবেদক

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪ বছরে শীর্ষে পৌঁছবে

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:৫৪ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:৫৭

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ আগামী চার বছরে পৌঁছবে শীর্ষবিন্দুতে। তার ফলে, আগামী দশকের মাঝামাঝি সময়ে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব কেন্দ্রই বন্ধ করে দিতে হবে গোটা বিশ্বে। ব্যাপক রদবদল ঘটে যাবে পৃথিবীর জলবায়ুর।

তার ফলে, মানুষের জীবনযাত্রার ধরন আমূল বদলে যাবে। দেখা যাবে আচরণগত পরিবর্তনও।

জলবায়ুগত পরিবর্তন ও তার প্রভাব নিয়ে জাতিসংঘের ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর আসন্ন রিপোর্টে এই হুঁশিয়ারি থাকতে চলেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

দৈনিকটি জানিয়েছে, গত সোমবার আইপিসিসির যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তারই তৃতীয় পর্বে থাকতে চলেছে এই হুঁশিয়ারি। যা আগামী বছরের মার্চে প্রকাশিত হওয়ার কথা। আইপিসিসির রিপোর্টটিকে ভাগ করা হয়েছে তিন ভাগে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিজ্ঞান, তার প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষের প্রভাব কী ভাবে কমানো যায় এই তিনটি পর্বে।

আইপিসিসির সেই আসন্ন রিপোর্টের খসড়ার কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিকটি জানিয়েছে, অর্থনীতির এগিয়ে চলার গতি বাড়াতে সব দেশই প্রচুর পরিমাণে কার্বন রয়েছে এমন সব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। তাতে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে উত্তরোত্তর। উষ্ণায়নের গতি বাড়ছে। সব দেশেরই ধনীরা সেই সব দেশের গরিব মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দায়ী হয়ে উঠছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের গতি বাড়ানোর জন্য। ঢাউস এসইউভি গাড়ির ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে জ্বালানি থেকে পরিবেশ বিষিয়ে ওঠার সম্ভাবনা। একই সঙ্গে যে কোনো পশুপাখির মাংস খাওয়ার অভ্যাসও বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করে দিচ্ছে। নানা ধরনের মহামারি ও অতিমারির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।

ব্রিটিশ দৈনিকটির খবর, সেই রিপোর্টে এমনো বলা হয়েছে চীন, ভারত, আমেরিকাসহ ১০ শতাংশ দেশ বিশ্বের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ৩৬ থেকে ৪৫ শতাংশের জন্য দায়ী। তারা একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে ঢুকেও সেই নির্গমনের পরিমাণে লাগাম পরাতে পারেনি।

রিপোর্টের বক্তব্য, এর ফলে, আগামী দশকের মাঝামাঝি সময়ে পৌঁছে সভ্যতাকে বদলে ফেলতে হবে তার জীবনযাপনের ধরনধারণ। খুব ঠাণ্ডা বা খুব গরম ঘরে থাকার অভ্যাস ছাড়তে হবে। হাঁটা আর সাইকেল চালানোর উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে। কমাতে হবে বিমানযাত্রা। বদলাতে হবে খাদ্যাভ্যাসও। প্রাণিজ প্রোটিন ছেড়ে মানুষকে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে উদ্ভিজ প্রোটিনের ওপরেই। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

নয়া শতাব্দী/ এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ