ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি জোট। খবর আল জাজিরা।
দেশটির জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর)। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট পদত্যাগ করার পর ৩ বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো নতুন নির্বাচন হলো দেশটিতে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঘোষিত ফলাফলে পার্লামেন্টের (নেসেট) ১২০ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তার দল এবং ডানপন্থি জোট।
এর আগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দেশটির নির্বাচনের বুথফেরত জরিপেও নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি জোট এগিয়ে ছিল।
ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, নেসেটের ১২০ আসনের মধ্যে নেতানিয়াহু এবং তার জোট ৬৪টি আসনে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি পেয়েছে ৩২টি আসন। অপরদিকে মধ্যপন্থি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের নেতৃত্বে বর্তমান জোট পেয়েছে ৫১টি আসন। এ জয়ের ফলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোটকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। আগামী সপ্তাহে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এ নিয়ে চার বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো ইসরাইলে। এর আগে টানা ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর গত বছর নির্বাচনে হেরে যান নেতানিয়াহু। পরে ইয়ার লাপিদের মধ্যপন্থি দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে ইয়েমিনা পার্টি।
সম্প্রতি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা ও ইরানসহ নানা ইস্যুতে বর্তমান সরকারে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই আবারও নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে নেতানিয়াহু আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হলে ডানপন্থিদের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিক ইতামার বেন জিভির মতো কট্টরপন্থিদের নিয়েও সরকার গড়বেন তিনি। নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য সেই মন্ত্রিসভা নিয়ে জনমনে এরই মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, কট্টর ডানপন্থি ইতামার বেন জিভির ইসরাইলের নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী থেকে উঠে এসেছেন।
অতীতে তার বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ, এমনকি ওই অভিযোগে অভিযুক্তও হয়েছিলেন তিনি। এখনও সেই দৃষ্টিভঙ্গিই পোষণ করেন ইতামার বেন জিভির। স্থানীয় আরবদের ‘ইসরাইল রাষ্ট্রবিরোধী’ অভিহিত করে তাদের বাস্তুচ্যুত করার পক্ষে ওকালতি করেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ