ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে চায় আফগান সরকার

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২১, ১৭:১৭

দেশজুড়ে চলছে তীব্র লড়াই। নানা স্থানে সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিচ্ছে তালেবান। সর্বশেষ কাবুল থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে গজনি প্রদেশের রাজধানী গজনি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এ পর্যন্ত দশটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখলে নিল গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে সহিংসতা বন্ধে তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। দুইপক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতারের মাধ্যমে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তালেবানের হাতে ১০ম প্রাদেশিক রাজধানী পতনের দিনে এ প্রস্তাব দিল কোণঠাসা আফগান সরকার। মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তালেবানের হাতে কাবুল সরকারের পতন হবে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গজনি প্রদেশের রাজধানী দখল করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। শহরটি আফগান রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে। তীব্র লড়াই চলছে হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী ও আফগানিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম শহর লস্কর গাহেও। ইতোমধ্যে সেখানকার আঞ্চলিক পুলিশ সদরদফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।

আল জাজিরার খবর বলছে, তীব্র আক্রমণের মুখে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন লস্কর গাহের একদল পুলিশ কর্মকর্তা। বাকিরা আশ্রয় নিয়েছেন এখনো সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা গভর্নর অফিসে। লড়াইয়ে সরকারি বাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে, কান্দাহার কারাগারে তাণ্ডব চালিয়েছে তালেবান। স্থানীয় নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের একটি দল কান্দাহার কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে কয়েকশ’ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে। কারাগারটিতে এর আগেও হানা দিয়েছিল তালেবান। তখনো অসংখ্য বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছিল।

তালেবানের হামলা-সহিংসতায় চলতি বছর আফগানিস্তানজুড়ে অন্তত ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে, গত মে মাস থেকে এর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে অন্তত ৫ হাজার ৮০০ জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি কাবুলে পৌঁছে সংঘাত ও অন্যান্য হুমকি থেকে নিরাপত্তা চেয়েছেন। তবে এ ধরনের ভুক্তভোগীদের জন্য অতীতের হাজার কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা এখন কমে মাত্র ৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ